বিলুপ্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় পলাতক বিলুপ্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদÐ অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডিতরা হলেন- ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের বংশাল শাখার তৎকালীন সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) সৈয়দ মাহমুদ হাসান ও মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ওই শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন খন্দকার। এক যুগের বেশি আগের মামলাটির বিচার শেষে মঙ্গলবার ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আসমি মাহজাবীন চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে তার আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই ঋণ আত্মসাতে তার কোনো দায় নেই বলে আমরা আদালতে বলেছি। আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে খালাস দিয়েছেন। অস্তিত্বহীন মেসার্স বায়োনিক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে চার কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর কোতয়ালী থানায় মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত শেষে এক দশক পর আদালতে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক বংশাল শাখা থেকে চার কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করেছেন। সুদসহ ওই টাকার খেলাপির পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৫৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৫ টাকা।
২০১৭ সালে মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর পর দুই বছরে রাষ্ট্রপক্ষের মোট সাত সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের শেষ দিকে সংকটে পড়ে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। পরে ২০০৯ সালে মালিকানা হাতবদলে ব্যাংকটির নতুন নাম হয় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সব দায় ও সম্পত্তি গ্রহণ করে এই ব্যাংক।