বিরোধী নেতাদের কটাক্ষ করতেন না, সম্মান দিয়ে কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে স্পিকার বিব্রত হতেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু হতেন না। উদার না হলে গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন না হলে এটা ভাবাই যেত না। ১৯৭৩ সালে পার্লামেন্টে আতাউর রহমান খান, এমএন লারমাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন এমপি ছিলেন। তখনও দেখেছি তারা কথা বলতে চাইলেই সুযোগ পেতেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রায়সময় বঙ্গবন্ধুই স্পিকারকে বলে সে সুযোগ করে দিতেন। বিরোধী দলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা একটা মনোযোগ ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক না কেন বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না বরং তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তার জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অধিবেশন প্রত্যক্ষ করার জন্য আমন্ত্রণ পান এবং অনেকে যোগও দেন।
অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশর, যৌবন, শিক্ষা, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পর সরকারসহ নানা ঐতিহাসিক তথ্যের ওপর আলোকপাত করেন।