বিমান ছিনতাইচেষ্টা ‘নস্যাৎ’ করে সম্মাননা পেলেন ৯ জন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
খেলনা পিস্তল দিয়ে বিমানের দুবাইগামী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা নস্যাতের ঘটনায় সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ওই ফ্লাইটের ককপিট ও কেবিন ক্রুদের সম্মাননা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার ঢাকায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল দক্ষতা ও দূরদর্শিতার জন্য তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের হাতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এরা হলেন- ক্যাপ্টেন মো. গোলাম শাফি, ফাস্ট অফিসার মুনতাসির মাহবুব, পার্সার শাফিকা নাসিম নিম্মি, জুনিয়র পার্সার হোসনেয়ারা, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস শরিফা বেগম রুমা, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড সাহেদুজ্জামান সাগর, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড মো. আব্দুস সাকুর মোজাহিদ, অ্যাসিসট্যান্ট সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তপু বডুয়া ও সিনিয়র ডাটা প্রসেসিং অ্যাসিসট্যান্ট জহিরুল আলম চৌধুরী।
এই অনুষ্ঠানে বিমানের প্রধান কার্যালয়ের ডাটা সেন্টারে অগ্নি নির্বাপনে সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য বিমানের দুই আইটিকর্মীকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। বিমানের পরিচালক প্রশাসন জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পরিচালক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সার্পোট মো. মমিনুল ইসলাম, পরিচালক পরিকল্পনা, বিক্রয় ও বিপণন কমোডর মাহবুব জাহান খাঁন, পরিচালক গ্রাহক সেবা আতিক সোবহান এবং চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার বিনিত সুদ, মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ শাকিল মেরাজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেখানে ছিলেন।
গত ২৪ ফেব্র“য়ারি ঢাকা থেকে ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ। চট্টগ্রাম হয়ে রাতেই দুবাই পৌঁছানোর কথা ছিল উড়োজাহাজটির।
কিন্তু নির্ধারিত যাত্রাবিরতিতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই অস্ত্রধারী এক যুবক বিজি-১৪৭ বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য। প্রায় দুই ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযানে পিস্তলধারী ওই যুবক নিহত হন বলে সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান। উদ্ধার করা পিস্তলটিকে বাংলাদেশে তৈরি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল বলে জানায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। পরে নিহতকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহানের ছেলে পলাশ আহমেদ বলে শনাক্ত করা হয়।