বিমান ছিনতাইকারী র্যাবের অপরাধী তালিকার ‘পলাশ’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিমান ছিনতাই করতে গিয়ে যে যুবক কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছেন, তার আঙুলের ছাপ ক্রিমিনাল ডেটাবেইজে থাকা এক অপরাধীর সঙ্গে মিলে গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সোমবার বলেন, তাদের ডেটাবেইজের তথ্য অনুযায়ী ওই যুবকের নাম মো. পলাশ আহমেদ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানের পর সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা শুধু বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তির নাম ‘মাহাদী’, তার বয়স ২৬/২৭ বছর।
তার বিস্তারিত পরিচয় বা তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো তথ্য সে সময় তারা জানাতে পারেননি। তার কাছে যে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে সেটি একটি ‘খেলনা পিস্তল’ বলে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান রোববার রাতে জানিয়েছিলেন।
বিমানের পেসেঞ্জার লিস্টের বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, নিহত ওই যুবক ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েন চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য। চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটির।
মুফতি মাহমুদ খান বলছেন, পেসেঞ্জার লিস্টে ওই যাত্রীর নাম ছিল অঐগঊউ/গউ চঙখঅঝঐ, সিট নম্বর ১৭অ। তবে ঠিক কী ধরনের অপরাধের জন্য পলাশ আহমেদের নাম র্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।
এদিকে আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, কমান্ডো অভিযানে নিহত ওই যুবকের মরদেহ রোববার গভীর রাতে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ লাশ হিসেবে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত লাশের দাবি নিয়ে স্বজনদের কেউ সেখানে যাননি।
র্যাব ওই যুবকের যে পরিচয় দিয়েছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কর্তফুলী জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট নই, খোঁজখবর নিচ্ছি।
পুলিশের প্রাথমিক সুরতহালে জানা গেছে, নিহত যুবকের নাভির ডান পাশে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি থানায়। পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে এজাহার পাঠানো হচ্ছে। কপি আসার পর আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।