বিমানবন্দরে ছাড়পত্র পাওয়া যুবক করোনায় আক্রান্ত
চুয়াডাঙ্গায় ইতালি ফেরত এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। গত ১২ মার্চ তিনি ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দরে পরীক্ষার পর শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ না থাকায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১৪ মার্চ তিনি চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে ফেরেন। পরদিন থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৬ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. এএসএম মারুফ হাসান বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ওই যুবককে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের একটি কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বাবাকেও রাখা হয়েছে হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১২ মার্চ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন ওই যুবক। বিমানবন্দরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়। ঢাকাতে দুইদিন থাকার পর ১৪ মার্চ নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে ফেরেন ইতালি ফেরত ওই যুবক। এর একদিন পর থেকেই ঠাণ্ডা, কাশি ও গলা ব্যাথাসহ জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। খবর পেয়ে গত ১৬ মার্চ তাকে ভর্তি করানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন আরও জানান, ভর্তির পর ঢাকা আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় এসে ওই যুবকের শরীরের নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এরপর তার শরীরের রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় আইইডিসিআরে। বুধবার রাতে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আইইডিসিআর ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট দেয়।
সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, জেলার চারটি উপজেলায় মোট ৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুইজন, জীবননগরে ৩৩ জন, দামুড়হুদায় ১৩ আলমডাঙ্গায় ৩৫ জন রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, হোম কোয়ারেন্টিনে ৮৩ জনের কথা বলা হলেও জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১০৫ জন।
গত ১৮ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, জেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশ ফেরত ১০৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সদরে ৪২ জন, জীবননগরে ৩৩, আলমডাঙ্গায় ১৫ ও দামুড়হুদায় ১৬ জন।