December 30, 2024
খেলাধুলা

বিপিএল অধিনায়কদের অবাক ফটোসেশন

ক্রীড়া ডেস্ক

আয়োজন শুরু হলো ২৫ মিনিট দেরিতে। তবুও একসঙ্গে পাওয়া গেল না সাত দলের অধিনায়ককে। একজন এলেনই না, আরেক অধিনায়কের বদলে দেখা গেল অন্য একজনকে। ছোট্ট আয়োজন শেষ হয়ে গেল যেন শুরু হওয়া মাত্রই। সব মিলিয়ে বিপিএলের সাত দলের অধিনায়কের ফটোসেশনে দেখা গেল চূড়ান্ত সম্বনয়হীনতা।

আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল, বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে মিরপুর একাডেমি মাঠে হবে ফটোসেশন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল­াহ, সিলেট থান্ডারের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন, কুমিল­া ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক দাসুন শানাকা নির্ধারিত সময়ের আগেই ছিলেন মাঠে। ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন না, দলের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মুমিনুল হক। সময়ের মধ্যেই চলে এলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। কিন্তু দেখা মিলছিল না বাকি দুই অধিনায়কের।

সব অধিনায়ক এলেও অবশ্য লাভ ছিল না। দাঁড়ানোর মঞ্চই যে তখনও প্রস্তুত নয়! লাল গালিচা আনা হয়েছিল আগেই, কিন্তু নির্ধারিত সময়েও প্রস্তুত ছিল না স্পন্সরদের নাম সম্বলিত ‘ব্যাকড্রপ।’ অধিনায়কদের দাঁড় করিয়ে রেখেই চলল সেটি তৈরির কাজ।

রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল এলেন কিছুক্ষণ পর। রংপুর রেঞ্জার্স অধিনায়ক মোহাম্মদ নবির চেহারা আর দেখাই গেল না। তিনি নাকি পথেই আটকা ট্রাফিক জ্যামে! তাকে ছাড়াই হয়ে গেল ফটোসেশন।

পাঁচ অধিনায়ক ও এক প্রতিনিধি দাঁড়ালেন। ক্যামেরার সামনে পোজ দিলেন। খানিক পর কনফেত্তি উড়ল হালকা। এরপর? অধিনায়করা বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন। মুশফিকুর রহিম সংবাদকর্মীদের জিজ্ঞেস করছিলেন ট্রফি উন্মোচন হবে কিনা। সেই প্রশ্ন ছিল উপস্থিত আরও অনেকের। কিন্তু ট্রফির কোনো ব্যাপারই ছিল না। তাহলে এই ফটোসেশনের মানে কি? এটুকুর জন্য এত ঝামেলা করে সবাইকে আনার প্রয়াস কেন!

ফটোসেশনে ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি। তিনি চেষ্টা করলেন ব্যাখ্যা করার। অধিনায়কদের জানানো হয়েছিল। আজকে সব দলেরই প্র্যাকটিস ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকে। একজন সময়মতো আসতে পারেননি। সেক্ষেত্রে সবার কথা ভেবে, আপনাদের কথাও ভেবে আমরা শুরু করে দিয়েছি।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *