November 26, 2024
বিনোদন জগৎ

বিনোদন আইনি বিপাকে কঙ্গনা রনৌত

বলিউড দুনিয়ায় আলোচিত একটি নাম রঙ্গোলি চান্দেল। কঙ্গনা রনৌতের এই বোন বিভিন্ন ব্যক্তিকে একের পর এক সমালোচনার তীর ছুড়তে পারঙ্গম। পরিণতিতে সবশেষে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টটাও হারিয়েছেন। এবার তাকে সমর্থন করায় আইনি অভিযোগের মুখে পড়েছেন বলিউডের ‘কুইন’খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।

কিছুদিন আগে বিতর্কিত টুইট নিয়ে রঙ্গোলিকে সমর্থন করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা। এবার সেই ভিডিওর জন্যই তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন মুম্বাইয়ের এক আইনজীবী। তার অভিযোগ, এক বোন গণহত্যার কথা বলেছেন। আর অন্য বোন শুধু তাকে সমর্থনই করেননি। সাম্প্রদায়িকতার কথাও তুলেছেন তিনি।

আলি কাশিফ খান দেশমুখ নামে মুম্বাইয়ের ওই আইনজীবীর বক্তব্য, হিংসা ছড়ানোর জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় কঙ্গনার বোন ও ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেলের টুইটার অ্যাকাউন্ট। কিন্তু তাতে তাদের হুঁশ ফেরেনি। দেশজুড়ে যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা গায়েই মাখেননি বোন কঙ্গনা। উল্টে তিনি আবার নতুন একটি ভিডিওর মাধ্যমে দিদিকে সমর্থন করেন।

এই আইনজীবীর আরও অভিযোগ, কঙ্গনা ও রঙ্গোলি তাদের তারকাখ্যাতি, অনুরাগীমহল, টাকা ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন। হিংসা ছড়ানোর জন্য ক্ষমতার ব্যবহার করছেন তারা।

কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা রনৌত একটি ভিডিও পোস্ট করেন। রঙ্গোলিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে রঙ্গোলি একটি টুইট করে বলেছিলেন যারা চিকিৎসক ও পুলিশের উপর আক্রমণ করছে, তাদের গুলি করে উড়িয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু সুসান খানের বোন ফারাহ খান আলী ও রিমা কাগতি রঙ্গোলির বক্তব্য বিকৃত করেছেন। তারা বলেছেন, রঙ্গোলি মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন।

কঙ্গনার বক্তব্য, রঙ্গোলি যদি সত্যিই এমন কথা বলে থাকেন তাহলে তিনি ও রঙ্গোলি, দু’জনেই সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন। কঙ্গনা আরও বলেন, ‘তবে কি ফারহা বা রিমা বলতে চাইছেন সব মুসলিম সন্ত্রাসবাদী? আমরা কিন্তু তা মনে করি না। আমরা বলছি না সব মুসলিম চিকিৎসকদের আক্রমণ করেছেন। সব মুসলিম পুলিশকর্মীদের উপর হামলা করছে।’

কঙ্গনার এই বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে আবারও আলোচনায় আসে এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো। এরপর বোনকে সমর্থন করায় কঙ্গনার নামে অভিযোগ আনলেন এই আইনজীবী।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *