‘বিধ্বংসী’ রূপ নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত আম্ফান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ‘বিধ্বংসী’ শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠে যাচ্ছে ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। বঙ্গোপসাগরে কোনো ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের ওপরে উঠে গেলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়। আর প্রাক বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এ শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোনের জায়গা দখল করে নিল আম্ফান।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এটি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝামাঝি কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা নাগাদ।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৯ মে) সারাদিন ও রাতে সুপার সাইক্লোনের (সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫৫ থেকে ২৬৫ কিমি) তীব্রতা থাকবে। তবে শেষরাতের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়লে এটির তীব্রতা কিছুটা কমে অতি প্রবল (সর্বোচ্চ ২১০ থেকে ২৩০ কিমি) ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তাণ্ডব চালাবে। এরপর আরও শক্তি ক্ষয় করে উপকূল অতিক্রম করে সমতলে উঠে আসার সময় বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার দিকে এটির গতি নেমে আসবে ১৭০ কিমিতে (খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড়)। বৃহস্পতিবার (২১ মে) নাগাদ ঝড়টি শান্ত হয়ে নিন্মচাপে পরিণত হবে।
বর্তমানে ঝড়টির যে অভিমুখ রয়েছে তা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে সীমান্তের ওপারে আসাম পর্যন্ত নির্দেশ করছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে এটি তাণ্ডব না চালালেও বজ্রসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর ক্ষয়ক্ষতিরও একটি সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। এতে ঘরবাড়ি, রেল যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, গাছপালা, পশুপাশি এবং শস্যের ক্ষতি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে উড়িষ্যার ৭শ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এলেও রাজ্যটিতে এবার তেমন ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে না। বরং পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই ভাবছে দেশটি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরও ইতোমধ্যে বিপদ সংকেত দিয়েছে সমুদ্রবন্দরগুলোতে। পায়রা ও মোংলা বন্দর অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি থাকায় বন্দর দুটিতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।