‘বিদেশে পাঠানোর মতো শারীরিক অবনতি হয়নি খালেদা জিয়ার’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলটি রাজনীতি করছে এমন মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেডিক্যাল বোর্ড বলছে তাকে বিদেশে পাঠানোর মতো অবস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্যের সঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তার শারীরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি হয়নি যে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। মেডিক্যাল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছেন। সেই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে এবং তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হতো তাহলে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে? তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের ভাষায় বর্তমান সংসদ যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে সংসদে যোগ দেওয়া বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য অবৈধ।
বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এখন গলাবাজি করছে। জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেওয়ায় নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন মানুষের কাছে নালিশ করছে। বিএনপির এই নালিশ ‘অভিযোগের রোগে’ পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
দেশের চলমান শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে এসব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা যাতে স্থান না পায় সে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশে দুর্ঘটনা অনেক হ্রাস পাবে এবং সড়ক-মহাসড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন ১ নভেম্বর থেকেই কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য সারাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, এই প্রচার প্রচারণা আগামী সাতদিন পর্যন্ত চলবে এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং নিজেও বিভিন্ন পরিবহন চালক ও যাত্রীদের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিকসহ বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।