January 20, 2025
জাতীয়লেটেস্ট

বিতরণের অপেক্ষায় ১০ হাজার পাসপোর্ট, আসছে না গ্রাহক

 পাসপোর্ট অফিসের কচ্ছপগতির সেবায় এক প্রকার হাঁপিয়ে উঠেছেন আবেদনকারীরা। সাধারণ ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত ২১ কর্মদিবসের মধ্যে গ্রাহকদের পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার বিধান থাকলেও সেটি প্রায় তিন মাস এবং জরুরি ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাওয়ার কথা থাকলেও দুই মাস সময়ের পরও পাওয়া যায় না পাসপোর্ট।

তবে এখন রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। বিতরণের অপেক্ষায় জমা পড়ে আছে প্রায় ১০ হাজার পাসপোর্ট। কিন্তু সেগুলো নেওয়ার জন্য সময়মতো গ্রাহকদের পাচ্ছে না পাসপোর্ট অফিস।

জানা যায়, করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর ই-পাসপোর্টসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তবে জরুরি বিবেচনায় শুধু পাসপোর্টের নবায়ন কাজ চালু রেখেছিল। করোনার আগে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বই সংকটের কারণে আবেদনের স্তূপ জমেছিল পাসপোর্ট অফিসে। ফলে ঝুলে যায় কয়েক হাজার পাসপোর্ট।

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালের এ কয়েক মাস ধরে কেবল দাপ্তরিক কাজ চলছে। এ সুযোগে এগিয়ে গেছে জটে থাকা বই প্রিন্টিংয়ের কাজও। ঢাকা থেকে জেলা, আঞ্চলিক ও বিভাগীয় কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট বই। ফলে প্রায় ১০ হাজার পাসপোর্ট জমা রয়েছে। কিন্তু এখন আর আবেদনকারীরা না আসায় পাসপোর্ট বিতরণ করা যাচ্ছে না। ফলে পুরো অফিসজুড়ে পাসপোর্টের বিশাল স্তূপ জমা পড়েছে।

গ্রাহকদের ফোন করে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে বলছে কর্তৃপক্ষ। তবুও নিতে না এলে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে। করোনার কারণে অনেকে দূরদূরান্ত থেকে আসতে পারছেন না। আবার পরিস্থিতির কারণে অনেকের বিদেশ যাত্রা বাতিল হওয়ায় তারা পাসপোর্ট নিতে দেরি করছেন।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বইয়ের স্তূপ জমেছে। নতুন আবেদন নেওয়া শুরু হলেও আগের মতো সাড়া মিলছে না। নতুন পাসপোর্টের চাপ না থাকায় অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পাসপোর্ট নিতে আসা নিতুন কুণ্ডু বলেন, ভারতে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য যেতে পাঁচ মাস আগে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলাম। করোনা সংক্রমণের কারণে ভারতে যেতে পারিনি। দীর্ঘদিন পর আজ পাসপোর্ট হাতে পেলাম। আগে পাসপোর্ট অফিসে এলে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হত। এখন মানুষের ভিড় নেই।

জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক মোহা. আজমল কবির বলেন, বিতরণের অপেক্ষায় প্রায় ১০ হাজার পাসপোর্ট আমাদের এখানে জমা পড়ে আছে। আমরা গ্রাহকদের ফোন করে ও চিঠি পাঠিয়ে পাসপোর্ট নিতে অনুরোধ করছি। করোনার কারণে কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় জটে থাকা পাসপোর্ট ছাপানো সম্ভব হয়েছে। এখন নতুন আবেদন নেওয়া শুরু হলেও তেমন সাড়া মিলছে না। তাই পুরনো আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইসহ অভ্যন্তরীণ কাজ চলছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *