বিকেলে ফাঁকা শিমুলিয়াঘাট
ঈদকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদ যাত্রার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালেও ঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ ছিল।তবে ১০টার পর থেকেই পাল্টাতে শুরু করে চিত্র।যাত্রীদের চাপ কমতে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত এ ঘাটে।
দুপুরে অনেকটাই যাত্রীশূন্য হয়ে পড়ে শিমুলিয়া ঘাট।যাত্রী কম আর ফেরির সংখ্যা বেশি হওয়ায় ঘাটে আগত যাত্রীরা সহজেই পাড়ি দেন পদ্মা।
এদিকে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী শিমুলিয়াঘাট হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৬ ফেরি সচল রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বিকেল ৩টার দিকে শিমুলিয়ার তিন ঘাটই ফাঁকা হয়ে যায়। যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ঘাটে যারাই আসছেন স্বল্প সময়ে ফেরিযোগে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছেন। ফেরির জন্য অপেক্ষা, ভোগান্তি, জটলায় পড়তে হয়নি কাউকে
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল আহমেদ জানান, সকালের পর যাত্রীর চাপ কমেছে। আর ঘাটে অপেক্ষারত সব গাড়িই পার করা হচ্ছে।বর্তমানে দুইশতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি আছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ডাম্প, রোরো ও মাঝারি আকৃতির মিলিয়ে ১৬ ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে। সকাল থেকে প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী পার করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. মাহফুজ আফজাল জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিবহনের গাড়ি পার করা হচ্ছে। তবে যারাই ফেরিতে পার হওয়ার জন্য আসছেন তারা অনায়াসে পার হতে পারছেন।