বিএসএফের গুলিতে আহত সেই কিশোরের মৃত্যু
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত সেই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফরিদুল ইসলাম জানান।
সদর উপজেলার শিংরোড-প্রধানপাড়া সীমান্তে বিকালে বিএসএফের গুলিতে চাকলাহাট ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন শিংরোড-প্রধানপাড়া গ্রামের পরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে শিমন রায় (১৬) আহত হন। এবার তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
চিকিৎসার জন্য তার সঙ্গে রংপুর হাসপাতালে যাওয়া প্রতিবেশী রাজ্জাকুল ইসলাম (২৫) সাংবাদিকদের বলেন, “পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে প্রতিবেশী হিসেবে আমিও তার সাথে যাই। সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ পর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে বেডে স্থানান্তর করা হয়। রাত ৯টার কিছুক্ষণ আগে তার মৃত্যু হয়।”
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, “গুলি পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হওয়ায় বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। এজন্য চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।”
বিজিবির নীলফামারী ৫৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুনুল হক বলেন, এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হলেও তারা সাড়া দেয়নি। নতুন করে বৈঠকের আহবান জানানো হবে।
শিমনের বাবা পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, বিকালে তিনি তার ছেলে ও স্বজনরা নিজেদের পাটক্ষেতে জালের বেড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় ভারতীয় সাকাতি বিএসএফ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে বেড়া দিতে নিষেধ করেন।
“এ নিয়ে তর্ক বেধে গেলে এক বিএসএফ সদস্য শিমনকে খুব কাছে থেকে গুলি করেন। গুলি পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে তার ভুড়ি বেরিয়ে গেছে।”