বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করার বিষয়ে এতদিন অনড় থাকলেও অবশেষে স্থান পরিবর্তনে রাজি হয়েছে বিএনপি।
আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসির সাথে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর আলোচনা শেষে নতুন ভেন্যুর বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ্যানী বলেন, ডিএমপি কমিশনারকে বলেছি নয়াপল্টনের সামনে আমরা দায়িত্ব নিয়ে সমাবেশ করব। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করা যাবে না, গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে- এখানে অনেক সমস্যা হতে পারে। আপনার এখানে বসে পড়বেন, বেগম খালেদা জিয়া চলে আসবে।
এ্যানী বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে আমরা আইন অমান্য করে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসব। এমন তো নয় যে আমরা অসহযোগ আন্দোলন দিয়েছি। ডিএমপি কমিশনকে বলেছি, এগুলো বলে পরিবেশ নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা যাব না, কোনোমতেই আমরা ওখানে নিরাপদ মনে করছি না। যদি পার্টি অফিসের (নয়াপল্টন) বিকল্প কোনো জায়গা দিতে পারেন আমরা সেখানে সমাবেশ করব। না হয় পার্টি অফিসের সামনে করতে হবে। শেষ পর্যন্ত সমাবেশ করতে গিয়ে যদি কোনো হট্টগোল তৈরি হয় সে দায়িত্ব আমরা নেব না। তাদেরকে (পুলিশ) নিতে হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টন ব্যতীত বিকল্প কোন স্থানের কথা ভাবছেন জানতে চাইলে এ্যানী বলেন, তারা আমাদেরকে জানাবে। তারা আরো চিন্তাভাবনা করছে, করে জানাবে।
বিকল্প ভেন্যু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা দুই-একটি জায়গায় সমাবেশ করার কথা বলেছে যেগুলো উন্মুক্ত স্থান। আমরা বলেছি রাজধানীর মধ্যে হতে হবে। এখন আশপাশে কোথায় করা যায় সেটা চিন্তা করে তারা জানাবে।
এ্যানী আরো বলেন, আলোচনায় এসেছে কোথায় সমাবেশ করা যায়। কয়েকটি স্থানের নামও উঠে এসেছে- দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ও আরামবাগ। এরকম তিন-চারটি স্থানের কথা এসেছে, তারা জানাবে। আমরা প্রস্তাব করিনি, আলোচনায় কথাগুলো উঠে এসেছে।
গত ১৫ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয় বিএনপি। তবে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টির কারণ দেখিয়ে ২৯ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।অনুমতিপত্রে সমাবেশের জন্য ২৬টি শর্ত জুড়ে দেয় ডিএমপি।
এরপর থেকে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। তবে রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকার ভেতরে সমাবেশের জন্য বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে সরকারের নানামুখী দমননীতি এখন সর্বসাধারণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। গতকাল (শনিবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নিপীড়নের আরেকটি নতুন মাত্রা। আমি সরকারের এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।