বাসযাত্রীকে ফেলে চাকায় পিষে হত্যার অভিযোগ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে বাস থেকে ‘ফেলে দিয়ে’ এক যাত্রীকে চাকায় পিষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ‘আলম এশিয়া পরিবহনের’ গাড়িটি আটক করেছে। তবে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে।
নিহত সালাহ উদ্দিন (৩৫) স্থানীয় আতাউর রহমান মেম্বার বাড়িতে ভাড়া থেকে ‘স্কটেক্স এ্যাপারেলস’ নামের পোশাক কারখানার গাড়ি চালাতেন। তিনি ঢাকার আলু বাজার এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ছোটো ভাই জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গত শুক্রবার সালাহ উদ্দিন ঈদের ছুটিতে সস্ত্রীক ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। রবিবার তারা ময়মনসিংহ থেকে আলম এশিয়া পরিবহনের বাসে গাজীপুরে বাসায় ফিরছিলেন।
জামাল বলেন, পথে ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সাথে পরিবহনের সহকারীর বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গাড়ির ভিতরে সালাহ উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে এবং লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় চালকের সহকারী। এ ঘটনা সালাহ উদ্দিন মোবাইল ফোনে তার স্বজনদের অবহিত করেন এবং গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় তাদের থাকতে বলেন।
জামাল আরও বলেন, পরে তিনি নিজেলসহ ৫-৬ জন বাঘের বাজার এলাকায় ওই বাসটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঘের বাজার পৌঁছলে সালাহ উদ্দিনকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে না নামিয়েই বাসটি চলে যেতে উদ্যত হয়। ওই সময় সালাহ উদ্দিন মাটি থেকে উঠে গিয়ে গাড়িটির গতি রোধ করার চেষ্টা চালান। কিন্তু বাস চালক সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীকে না নামিয়ে সালাহ উদ্দিনের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জামাল বলেন, পরে স্ত্রীর কান্নাকাটির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে চলন্ত গাড়ি থেকেই সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে তারা।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় গাড়িটি মেম্বারবাড়ি আমতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে চালক ও তার সহকারীরা পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।