বাফুফে সদস্য মাহফুজা কিরণ গ্রেপ্তারের পর কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটাক্ষ’ করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মানহানির মামলায় বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের পরোয়ানা থাকায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকার মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বলে তাকে বেলা ১টায় ধানমন্ডি কেয়ারি প্লাজার পেছন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই তাকে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিকলে মাহফুজা কিরণকে আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান। বিবাদীর পক্ষে জামিনের আবেদন হলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
মাহফুজা কিরণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ফিফার রুলিং কাউন্সিলে এশিয়া অঞ্চলের নারী প্রতিনিধি।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্সের করা মামলায় গত মঙ্গলবার কিরণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী।
গত ৮ মার্চ বাফুফে দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজার বক্তব্য ধরে মানহানির মামলাটি হয়। মামলায় অভিযোগ, ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “পিএম (প্রধানমন্ত্রী) হিসাবে সব খেলাই তার কাছে সমান। তিনি সেখানে কেন দু’চোখে দেখবেন। মেয়েরা ব্যাক টু চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা। অভিনন্দন তো দিতে পারেন। মিডিয়াতে কি কোন অভিনন্দন জানিয়েছেন?
“বিএফএফের (বাফুফে) টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে দেওয়া হবে? প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছে থেকে কোন ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।”
তার এই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ফুটবল ও ক্রিকেট সংগঠকদের মানহানি হয়েছে অভিযোগ করে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করেন আবু হাসান।