বাধ্যতামূলক অবসরে উপসচিব রেজাউল
মামলা তুলে নিতে হুমকি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
গত সোমবার (২১ নভেম্বর) তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। তিনি সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রেজাউল করিম জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর ৯(১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা হয়। তিনি বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়।
এতে আরও বলা হয়, উপসচিবের দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযোগ তদন্তে করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী রেজাউল করিমকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
উপসচিব রেজাউল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর শাস্তির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন এতে একমত পোষণ করে। পরে রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে সম্মতি দেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।