আইসিটি উদ্যোক্তাদের মূলধন যোগাতে চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’
তথ্যপ্রযুক্তিতে ‘হার্ডওয়্যার অ্যান্ড আরঅ্যান্ডডি’ খাতের উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে ১০ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন জোগাবে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ।
শুক্রবার ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’ নামে এই প্রকল্প চালু করবে, যার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা মূলধন হিসেবে ১০ লাখ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পাবেন।
ঢাকায় ১৪ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাত থেকে বছরে ৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার পর সরকার এখন জোর দিচ্ছে আইসিটি ইকোসিস্টেমে।
পলক বলেন, “আমাদের লোকাল মার্কেটে যে চাহিদা রয়েছে, তাতেও যদি স্টার্টআপ প্রডাক্টগুলো শোকেস বা পিচ করতে পারে, তাহলেও কিন্তু বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা আইসিটি ইকোসিস্টেমকে একটা ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। আমাদের এই ইকোসিস্টেম মেকানিজমের জন্য বড় ফান্ড দরকার। হার্ডওয়্যার অ্যান্ড আরঅ্যান্ডডি খাতের ভবিষ্যৎ রয়েছে।”
সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়ার তৈরি ও রপ্তানিতে জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা করে এগাতে পারিলে দেশের চাহিদা পূরণের পর আন্তর্জাতিক বাজারেও একটি ‘অবস্থান’ পাওয়া সম্ভব।বিভিন্ন মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে যন্ত্রাংশ সংযোজনের প্রক্রিয়া শুরু করায় আশাবাদী হয়ে ওঠার কথা জানিয়ে পলক বলেন, “আগামী ৪ বছরে হার্ডওয়্যার অ্যান্ড আরঅ্যান্ডডি খাতে আমরা আরও ১০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান নিশ্চিৎ করতে পারব।”
দেশে এখন মানুষের হাতে হাতে ৫ কোটি স্মার্টফোন আছে এবং এর ১৭ শতাংশ দেশীয় কোম্পানিগুলোর তৈরি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে এখন দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে হবে। পাশাপাশি এ খাতের বিনিয়োগকারীদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস নিয়েও সচেতন করে তুলবে আইসিটি বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৪ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন।
হার্ডওয়্যার এবং আরঅ্যান্ডডি খাতের পণ্যগুলোকে এই এক্সপোতে তুলে ধরে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাই এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে জানান পলক।
আইসিটি বিভাগ, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে এই এক্সপোর আয়োজন করছে।
এক্সপো দেখতে চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। সেই নিবন্ধনপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। ভেন্যুতে প্রবেশ করতে কোনো টাকা লাগবে না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রদর্শনীর দুয়ার।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই তথ্যপ্রযুক্তির প্রদর্শনীতে বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন থাকবে। বিভিন্ন দেশের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীরা তাতে অংশ নেবেন।
অন্যদের মধ্যে হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম ও আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।