বাজেটের সুফল দীর্ঘমেয়াদে পাওয়ার আশা অর্থমন্ত্রীর
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটের সুফল লম্বা সময় ধরে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদে গত ১৩ জুন পেশ করা তার বাজেট প্রস্তাবের ওপর শনিবার সমাপনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এই বাজেটটির ফাউন্ডেশন এই বছর। কিন্তু বাজেটের সুফল ২০৪১ সাল পযন্ত অর্জন করতে পারব, সেইভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, একটা দেশ এবং জাতির সাথে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এই বাজেটে টাইটেল রেখেছি ‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের।’ এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই, ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কি ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোনো খাবার ছিল না। চায়না আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ। যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে।
বিদেশি ঋণ গ্রহণের সমালোচনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সবচেয়ে কম বিদেশি ঋণ গ্রহণকারী দেশ উলেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বার্ষিক বিদেশি ঋণ গ্রহণের হার জিডিপির পাঁচ শতাংশের কম। এ হার পৃথিবীর সকল দেশ, এমনকী চীন ও মালয়েশিয়ার চেয়েও কম।
২০৪১ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব ইনশালাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা। বাজেটে প্রস্তাবিত বন্ডেড ওয়্যারহাউজ শতভাগ অটোমেশন করার মাধ্যমে অতিরিক্ত এক লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নতুন এ কার্যক্রম একবছরের জন্য নয়, এটা চালু করা হয়েছে, চলমান থাকবে, বলেন মুস্তফা কামাল।