বাজারে এলো হার্লের নতুন ক্রুজার বাইক
বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থা হার্লে ডেভিডসন নিয়ে এলো তাদের নতুন ক্রুজার বাইক। ৬৫ বছর ধরে আইকনিক বাইক দিয়ে ভক্তদের রোমাঞ্চিত করেছে। ২০২২ এ এলো তাদের নতুন বাইক হার্লে ডেভিডসন নাইটস্টার ৯৭৫সিসি।
কিছুদিন আগেই হার্লের নতুন আরও একটি বাইক এসেছে বাজারে। এছাড়াও এই মুহূর্তে ভারতসহ বাইকের বাজারে আলোড়ন তুলে রেখেছে সংস্থার আরও কিছু বাইক। যার মধ্যে অন্যতম হার্লে ডেভিডসন আয়রন ৮৮৩, হার্লে ডেভিডসন ফোর্টি এইট, হার্লে ডেভিডসন সুপারস্টার এস, হার্লে ডেভিডসন রোড কিংসহ আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় বাইক। এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন হচ্ছে হার্লে ডেভিডসন নাইটস্টার ৯৭৫সিসি।
সংস্থাটির শেষ লঞ্চ হওয়া বাইক সুপারস্টার এসের তুলনায় ৯৩ এমএম বেশি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকছে। অর্থাৎ বাইকটিতে থাকছে ৭০৫এমএম-এর একটি কম উচ্চতার সিট। সিটের নিচে এবং সুইংআর্মের নিচে প্রসারিত হলো একটি ৩.১ গ্যালন ম্যাট কালো ইস্পাত গ্যাস ট্যাঙ্ক। সামনের চাকার ঠিক পিছনে একটি কুল্যান্ট ট্যাঙ্ক রয়েছে।
এছাড়াও থাকছে পাওয়ারট্রেন ইঞ্জিন। এই কারণেই এই বাইকে লাগানো হয়েছে নিউ জেনারেশন লিকুউড কুলড মোটর। হার্লে ডেভিডসন নাইটস্টার একটি ৯৭৫ সিসি লিকুইড-কুলড ৬০-ডিগ্রি ভি-টুইন ইঞ্জিনে চলবে। যাতে সাহায্য করবে স্লিপ মেকানিক্যাল ওয়েট ক্লাচ সহ একটি সিক্স-স্পিড ট্রান্সমিশন।
৯৭৫ সিসির এই ইঞ্জিনটিতে রয়েছে ৯০ বিএইচপির পাওয়ার ও ৯৫ এনএম-এর টর্ক। এছাড়াও বাইকটিতে রয়েছে ৬ স্পিড গিয়ার বক্স। এছাড়াও সেফটি ফিচার হিসেবে পাওয়া যাবে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং ডুয়াল স্প্রিং। রাইডের জন্য মোট তিনটি মোড পাওয়া যাবে বাইকটিতে। এছাড়াও রয়েছে পাওয়ার ডেলিভারি, ইঞ্জিং ব্রেকিং, এবিএস ও ট্র্যাকশন কন্ট্রোলের সেটিংসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
বাইকটিতে ১৯ ইঞ্চি সামনে ও ১৬ ইঞ্চিপিছনে কাস্ট অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় হুইল পাওয়া যাবে। সামনে ৩২০ এমএম ডিস্কসহ একটি ফোর-পিস্টন ক্যালিপার ও পিছনে ২৬০ এমএম ডিস্কসহ সিঙ্গল-পিস্টন ক্যালিপার থাকবে।
রাউন্ড এয়ার ইনটেক কভার, কাট ফেন্ডার, টুইন রিয়ার শক এবং দুর্দান্ত ফুয়েল ট্যাঙ্ক। এছাড়াও গাড়িটিতে রয়েছে এলইডি হেডল্যাম্প থাকছে নতুন এই বাইকটিতে। এছাড়াও যখন খুশি তখন রোড মোড পরিবর্তন করে স্পোর্টস মোডে দেওয়া যাবে।
ভিভিড ব্ল্যাক, গানশিপ গ্রে ও রেডলাইন রেড মোট তিনটি রঙের বিকল্পে বাজারে পাওয়া যাবে বাইকটি। ভারতীয় বাজারে বাইকটির দাম ১৪ লাখ ৯৯ হাজার রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা।