বাগেরহাটে ৮ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ভাংচুর
বাগেরহাট প্রতিনিধি
যৌন হয়রানি বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে বাগেরহাট মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুলের (ম্যাটস্) ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাত ৮টা থেকে শহরের মুনিগঞ্জস্থ ম্যাটস্-এর ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড় হয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। যা এখনও চলমান রয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করে অভিযোগের তদন্ত করতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ আব্দুর রকিব। এই কমিটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কলেজের স্টাফরা আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। এমনকি ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও করেন বিভিন্ন স্টাফরা। যখন তখন পুরুষ স্টাফরা মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে যায়। পরীক্ষার সময় স্টাফরা গার্ড দেয়। প্রতিষ্ঠানের বাবুর্চি দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালায়। শিক্ষার্থীদের সামনে সিগারেট খাওয়াসহ নানা অনিয়ম ও অন্যায় করে আসছে। এসব বিষয় অধ্যক্ষকে জানাতে গেলে তার কক্ষে ঢুকতে দেয়না দায়িত্বরত স্টাফরা। এছাড়া ভাইবা পরীক্ষায় ফেল করানোরও ভয় দেখায় স্টাফরা। আমরা উচ্চমান সহকারী শেখ মহিউদ্দিন, ভান্ডার রক্ষক খান ফয়সাল রাতুল, অফিস সহায়ক মোঃ বাবুল হোসেন, বাবুর্চী আবু হানিফ ও নৈশ প্রহরী আব্দুল হামিদের বহিস্কারসহ সকল অন্যায়ের বিচার চাই। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আরো বলেন,রাইসা নামে খুলনায় একটি বেসরকারী ক্লিনিক পরিচালণা করেন অধ্যক্ষ। তিনি সপ্তাহে মাত্র দুই দিন প্রতিষ্ঠানে আসেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান ঠিক মত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার জন্য কর্মচারীরা তাদের সাথে এ রকম অত্যাচার চালাচ্ছে বলে জানান আন্দোলণকারীরা। দাবি মানা না হলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের জন্য আন্দোলনের ঘোষনা দেন শিক্ষার্থীরা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন বলেন, ম্যাটস-এ খুব হইচই হচ্ছে তাই শুনে আসি। অধ্যক্ষের ফোন পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি। শিক্ষার্থীদের বোঝাবার চেষ্টা করি। আমরা চেষ্টা করছি অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।
অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আব্দুর রকিব বলেন, শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগের বিষয়ে আগে কখনও বলেনি। আজ তারা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শিক্ষার্থীদের সকল ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে।