বাগেরহাটে ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের অভিযোগ, আটক ১
বাগেরহাটের শরণখোলায় দশটাকা কেজি দরের ১৮ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন সাউথখালি ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে এক মুদির দোকানের গুদাম থেকে এ চাল জব্দ করেন।
এ সময় রফিকুল ইসলাম ওরফে লিটন মুন্সিকে (৩৫) আটক করা হলেও খাদ্য বিভাগের ইউনিয়ন ডিলার হাওলাদার তরিকুল ইসলাম তারেক পালিয়ে গেছেন।
আটক রফিকুল উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের মজিদ মুন্সীর ছেলে। আর তরিকুল শরণখোলা উপজেলা সাইথখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজের ছোট ভাই।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ হওয়া দশ টাকা কেজির চাল গুদামে সরিয়ে রাখা হয়েছে খবরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়।
“এ সময় ৩০ কেজি ওজনের ১৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। আটক মুদি দোকানকার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে, ডিলার তরিকুল তার গুদামে চাল সরিয়ে রেখেছিলেন।”
শাহিন বলেন, “ডিলার এই চাল স্থানীয় দরিদ্রদের মাঝে বিক্রি না করে বেশি দাম পাওয়ার আশায় এখানে সরিয়ে রেখেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ইউনিয়নের কার্ডধারীরা বিগত দিনে ঠিকমত চাল পেয়েছে কিনা তার তালিকাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বাগেরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার বলেন, গত ১২ মার্চ ওই ডিলার ৩৯০ জন কার্ডধারী দরিদ্রদের জন্য খাদ্য গুদাম থেকে ১০ টাকা কেজি দরের সাড়ে ১১ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করেন।“যে মাসে ডিলার চাল উত্তোলন করবেন সেই মাসের মধ্যে সব বিক্রি করার বিধান রয়েছে। আমাদের এই ডিলার নিয়ম না মেনে চাল অন্য গুদামে সরিয়ে রেখে অপরাধ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শরণখোলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
ডিলার তরিকুলকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে শরনখোলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আবু সাইদ জানান।