বাগেরহাটে শিশুকে অপহরণ ও হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বাগেরহাটের চিতলমারীতে অপহরণের দুই দিন পর একটি মাছের ঘের থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকালে উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের জনৈক সবুর তালুকদারের মাছের ঘেরে খালিদ শিকদারের (৬) লাশ পাওয়া যায়। তাকে অপহরণ ও হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত শনিবার বিকালে বাড়ির পাশে ঈদগাহ মাঠে খেলতে গিয়ে খালিদ অপহ্নত হয়। ওইদিন রাতেই তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার আলী তালুকদার ১৫ জনের নামে চিতলমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।
খালিদ শিকদার চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক চৌদ্দহাজারী গ্রামের কাওসার আলী তালুকদারের ছেলে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, শনিবার বিকেলে খালিদ বাড়ির পাশে ঈদগাহ মাঠে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি। ওইদিন রাতে তার বাবা বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় ১৫ জনের নাম উলেখ করে একটি অপহরণ মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশের একাধিক দল শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ বলেন।
রেজাউল বলেন, স্থানীয় লোকজন সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মাছের ঘেরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর তার পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন। দুর্বৃত্তরা অপহরণের পরপরই শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এজাহারনামীয় নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রেজাউল বলেন, কাওসার আলী তালুকদারের সঙ্গে গ্রামের বেশকিছু মানুষের জমি ও রাজনৈতিক বিষয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।