বাগেরহাটে মাদ্রাসাছাত্রীর ধর্ষকের আদালতে স্বীকারোক্তি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বাগেরহাট সদর উপজেলায় প্রথম শ্রেণীর মাদ্রাসাছাত্রী ফারিয়া ইয়াসমিন লামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত ঘাতক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব (১৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শোয়েব।
এদিকে, বাগেরহাটে প্রথম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী ফারিয়া ইয়াসমিন লামিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। লামিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের খারদ্বার এলাকায় জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেহরাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজগর আলী, উদয়নের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান শেখ, বাগেরহাট জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সভানেত্রী ইসরাত জাহান, নারী নেত্রী হালিমা খাতুন, শিল্পি আক্তার, উন্নয়ন কর্মী শফিকুল ইসলাম মিলন ও মানিক দাস। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষার্থী ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
রবিবার বিকালে ঘাকত শোয়েব আম খাওয়ানো প্রলোভন দিয়ে বাগানে ডেকে নিয়ে শিশু লামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ দিঘিরজান খালের চরে পুতে রাখে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী শিশুটিকে খুঁজতে নেমে রাতে তাদের বাড়ির পাশের খালের চরে পুতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে। এই শিশুটিকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে শিশুটির নিকট আত্মীয় শোয়েরকে ওইদিন রাতে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে ঘাতক শোয়েব।