বাইডেনের জলবায়ু দূত কেরি ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় পৌঁছেছেন তার জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের নয়াদিল্লী থেকে বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ অন্যরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন কেরিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার সেখানে ছিলেন।
বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাইডেনের ডাকা ‘লিডারস সামিটের’ আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন কেরি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোমেন। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি শুক্রবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছুলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনেন তিনি, যা থেকে চার বছর আগে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তার পূর্বসুরী ডনাল্ড ট্রাম্প।
বাইডেন নিজের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব নেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে। তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাইডেন ঘোষণা দেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে ‘লিডারস সামিট’ আয়োজন করবেন তিনি। এরপর মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানান বাইডেন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শুরু হবে দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন। সাধারণ মানুষের দেখার জন্য সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও থাকবে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরিকে শুক্রবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন এবং ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
এই সম্মেলনের পাশাপাশি নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ২৬তম সম্মেলন বা ‘কপ২৬’ নিয়ে আলোচনার জন্য সফর শুরু করেছেন বাইডেনের দূত কেরি।
১ এপ্রিল থেকে শুরু সফরে ইতোমধ্যে আবুধাবি ও নয়াদিল্লীতে গিয়েছেন তিনি। শেষ গন্তব্য ঢাকা সফর শেষে শুক্রবারই দেশের পথ ধরবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাইডেনের আহ্বানে যখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন হচ্ছে, তখন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ।
এ কারণে কেরির সফর ও সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারব এবং বিশ্ববাসীকে জানাতে পারব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় আমাদের নেওয়া পদক্ষেপগুলোও।”