বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে : খুবি ভিসি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে। সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপদানে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। বাঙালির চিরায়ত এই উৎসবটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উদযাপিত হয়। বাংলা নববর্ষের কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসিত। যা ইতোমধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বিগত দুই বছর আয়োজন বন্ধ থাকলেও করোনা মহামারী কাটিয়ে আবারও যে উৎসবমুখরভাবে দিনটি পালিত হচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে সকালে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় নানা রঙের ফেস্টুন, ঘোড়া, পেঁচা, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজ ছিলো নজরকাড়া।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। শোভাযাত্রা শেষে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় বাঙালির ঐতিহ্যগত লাঠিখেলা ও মোরগ লড়াই।
দিনটি উপলক্ষে ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন লস্কর বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের মেলা। দেশীয় সংস্কৃতির মিলন মেলা। এটি আমাদের শিকড়ের কাছে নিয়ে যায়। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নতুন করে শানিত করে, প্রাণিত করে। তাই দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় পহেলা বৈশাখ। এ দিনটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে সকল অন্ধকার দূর হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
রমজানের কারণে সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদযাপন হলেও এর নানা আয়োজন ও সাজ দেখতে খুলনার অসংখ্য সাধারণ মানুষ সপরিবারে ভীড় করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকলের সতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যেন তৈরি হয়েছিল এক সত্যিকার বাঙালি আবহ।