বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে: প্রধানমন্ত্রী
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। গণভবন থেকে ভাচুর্য়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত ভার্চুয়ালি চলবে এ শীর্ষ সম্মেলন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, আইন প্রণয়ন ও সংশোধন, আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন রপ্তানিবাজার তৈরির জন্য বাণিজ্য কূটনীতি এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দেশীয় উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তৎকালীন আওমী লীগ সরকার ঋণখেলাপি আইন ১৯৯৭, কপিরাইট আইন ২০০০ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সালিশ আইন ২০০১ প্রণয়ন করি। ২০০৯ সালে আবার সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এ সময় রপ্তানি আয় ছিল ১৫ হাজার ৫৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তা ৪৫ হাজার ৩৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নতি করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকারের বিভিন্ন নীতিমালার কারণে গত ১৩ বছরে একটানা গড়ে ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’
বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেসরকারি খাত আকর্ষণীয় করছি। বৈদেশিক বিনিয়োগ যাতে বেশি আসে, সেজন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দেশ-বিদেশে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, রোড শো, ট্রেড ফেয়ার আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছি।’
বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসের কার্যক্রমের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার করতে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোতে ২৩টি বাণিজ্য উইং কাজ করছে। আমাদের প্রতিটি অ্যাম্বাসিতে এভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে—বাণিজ্যের প্রসারের জন্য তারা যথাযথ কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং এফবিসিসিআই‘র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।