বাংলাদেশে ‘কোভ্যাক্সিনের’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন
ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এই টিকার সিআরও প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি বেশ কিছুদিন আগেই এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনুমোদন দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
“তারা যেসব ডকুমেন্টস উপস্থাপন করেছে, তার সবই বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক ছিল। গত ১৮ জুলাই ন্যাশনাল ইথিক্যাল কমিটি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। মানে তারা এখন মানুষের ওপর (কোভ্যাক্সিন) টিকা প্রয়োগ করতে পারবে।”
বিএমআরসির অনুমোদন পেলেও ট্রায়াল শুরুর আগে বাংলাদেশে ওই টিকা আনার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে বলে জানান সৈয়দ মোদাচ্ছের।
তিনি বলেন, “ওষুধ আনার পর ট্রায়াল শুরুর আগে তারা আমাদের অবশ্যই জানাবে- কোথায় কী দিচ্ছে। আমরা নিয়মিত এটা পর্যবেক্ষণ করব।”
ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ মিলে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে। গত জানুয়ারিতে এ টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। ভারত বায়োটেক বাংলাদেশে আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে এ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবে।
এর আগে গত ২৪ জুন চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সকে তাদের উদ্ভাবিত একটি নতুন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দেয় বিএমআরসি।
বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা এবং মডার্নার টিকা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।