বাংলাদেশকে ভুটানের স্বীকৃতির দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে ভুটানের কাছ থেকে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি কীভাবে লড়াইয়ে উজ্জীবিত করেছিল তার স্মৃতিচারণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সভায় ‘বাংলাদেশকে ভুটান-ভারতের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি’ নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব বলেন, ভুটানের বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার খবর এদেশের জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। মুক্তির লড়াইয়ের দ্বারপ্রান্তে ১৯৭১ সালের এই দিনে বেতার বার্তা পাঠিয়ে ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
২০১৪ সালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশ সফরে এসে সময়কার ভুটানের রাজা জিগমে দরজি ওয়াংচুকের পাঠানো ওই বেতার বার্তার অনুলিপি শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুটানের স্বীকৃতি মেলার ৪৮ বছর পূর্তির দিনে হারুন হাবিব বলেন, ইতিহাসের দায়বদ্ধতার কারণেই আমরা ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মোট ১৫০টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট স্বীকৃতি দেয় চীন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর যৌথ আয়োজনে এই আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রদূত মো.কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ভুটানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত কেজাং ওয়াং চুক।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান কেএম শফিউলাহ, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু ওসমান, অধ্যাপক মেজবা কামাল, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, ফোরামের সহ-সভাপতি ও বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ, লায়লা হাসানও বক্তব্য রাখেন।