September 21, 2024
আন্তর্জাতিকলাইফস্টাইল

বাঁচতে হলে লকডাউন

করোনা ভাইরাস যেখান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে, সেই উহানের অভিজ্ঞতা নিশ্চয় সবার চেয়ে বেশি। শহরটিতে যারা ছিলেন, এখনও আছেন, কঠিন সময়টা দেখেছেন, তাদের অভিজ্ঞতাও বলছে, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচার প্রধান উপায় লকডাউন; সামাজিক দূরত্ব।

প্রায় আড়াই মাস পর বুধবার (০৮ এপ্রিল) চীনা প্রাদেশিক শহরটির বন্দিদশার (লকডাউন) অবসান ঘটেছে। এরপর বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে উহান।

অনেক আগেই বিশ্ব চিনেছে করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর হুবেই প্রদেশের রাজধানী। এখন আবার কীভাবে শহরটিতে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে, তা-ও দেখতে চাচ্ছে সবাই। নজর রাখছে এখানের কে কী বলছেন ভাইরাস সম্পর্কে।

এরই ধারাবাহিকতায় উহানে বসবাসকারী ভারতীয়দের অভিজ্ঞতা, মতামত তুলে ধরেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস।

তাদের মতে, বন্দি হয়ে না থাকলে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব না। এটিই প্রধান উপায় এই সংক্রমণ থেকে বাঁচার।

হাইড্রো বায়োলজিস্ট অরুনজিৎ টি সত্রজিৎ ভারতের নাগরিক। তার বাড়ি কেরালায়। তিনি বসবাস করছেন উহানে। কাছে থেকে উপলব্ধি করেছেন কী ঘটে গেছে এই শহরে।

তিনি বলেন, টানা ৭৩ দিন বাড়িতে অবরুদ্ধ ছিলাম। একা ছিলাম। আমার মতো সবাই গৃহবন্দি ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনো কথা পর্যন্ত হয়নি। আর এটাই বাঁচিয়েছে। না হলে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলতো না।

তিনি আরও বলেন, আজ ল্যাবরেটরিতে গিয়ে কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। অভ্যাসটাই তো হারিয়ে গেছে!

এই সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ভারতে লকডাউন ঘোষণায় খুশি তিনি। বলছেন, সরকার ঠিক কাজ করেছে। নিজেকে আটকে না রাখলে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি নেই।

আরেক ভারতীয় বলেন, আমার এক প্রতিবেশীর তিনটি ছোট ছোট সন্তান। অন্তত এক দিনের জন্য হলেও ওদেরও বাইরে বের হতে দেখিনি। তারা সুস্থ আছে।

উহানে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে লকডাউন শুরু হয়েছিল। এখানে থেকে অন্তত ৭০০ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু কয়েকজন থেকে গিয়েছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *