বসিলার ‘জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর বসিলা মেট্রো হাউজিং এলাকায় র্যাবের অভিযানের সময় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। র্যাব-২ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আব্দুলাহ সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন বলে র্যাব-২ অধিনায়ক আশিক বিলাহ জানান। তিনি বলেন, ওই ‘জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে’ নিহত দুজন ছাড়াও আজ্ঞাতপরিচয় ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।
জঙ্গিদের অবস্থানের খবর পেয়ে রোববার রাত ৩টার দিকে মেট্রো হাউজিংয়ে ৮ নম্বর রোডের শেষ মাথায় একটি টিনশেড বাসাটি ঘিরে ফেলে র্যাব সদস্যরা। পরে সেখানে র্যাবের সঙ্গে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে ভেতরে থাকা দুইজন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয় বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানান।
অভিযান শেষে র্যাবের মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ওই বাড়িতে দুটি পিস্তল এবং চারটি অব্যবহৃত আইইডি (ই¤েপ্রাভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) পেয়েছেন তারা। নিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আইইডিগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন ওই দুই জঙ্গি কোন সংগঠনের সদস্য জানতে চাইলে র্যাব-২ অধিনায়ক আশিক বিলাহ মঙ্গলবার বলেন, বিস্ফোরণে দেহ দুটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। হাতসহ দেহ এতোটাই পুড়ে গেছে যে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার উপায় নেই।
কোন গ্র“প ওই বাড়িতে আস্তানা গেড়েছিল সে বিষয়ে মামলায় কিছু বলা হয়নি। নিহত দুজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি পরিচয় জানা যায়, তাহলে হয়ত বোঝা যাবে তারা কোন গ্র“পের।
ওই বাড়ির মালিক ওয়াহাব, কেয়াটেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমী এবং পাশের মসজিদের ইমাম ইউসুফকে সোমবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে তাদের কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানান।
বাড়ির মালিক ওয়াহাব র্যাবকে বলেছেন, সুজন ও সুমন নাম ব্যবহার করে দুই যুবক মাস দেড়েক আগে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। সে সময় তারা ভ্যানচালক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। গত ১ এপ্রিল বাসায় উঠলেও তারা নিয়মিত থাকতেন না। সুজন ও সুমন নিহতদের প্রকৃত নাম কিনা সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি র্যাব। বাড়ির মালিক ওয়াহাবও এর বেশি তথ্য দিতে পারেননি।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে মিরপুরের বর্ধনবাড়ীর জঙ্গি আস্তানা এবং সীতাকুণ্ডের জঙ্গি আস্তানার জেএমবির দুজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বসিলায় নিহত দুজনই তারা কি না সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।