বসন্তের সাজ
বসন্ত কড়া নাড়ছে দরজায়। প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন রূপে। বসন্তকে বরণ করে নিতে ফ্যাশনপ্রেমীরাও উন্মুখ। সাজে, পোশকে বসন্তকে বরণ করে নিতে তাদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। আপনিই বা সেই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন কেন। চলুন জেনে আসি বসন্তে সাজ-পোশাকের ধরণটা কেমন হবে-
ফাল্গুনের দিনে পোশাকে থাকবে রঙের বিচিত্রতা। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, ফ্রক যে যাই পরুক না কেন তাতে থাকা চাই হলুদ, বাসন্তী কিংবা লাল রঙের ছোঁয়া। শুধু নারী নয়, পুরুষের শার্ট, পাঞ্জাবি বা ফতুয়ার ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার কাজ করে। আজকাল সব বয়সীরাই পোশাক-সাজ নিয়ে বেশ সচেতন থাকে। তাদের এ সচেতনতাকে কেন্দ্র করেই দিন দিন গড়ে উঠছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলো। ভিন্ন ভিন্ন রুচির কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের পোশাক। আরও আছে কাঠ, মাটি, মেটাল, পাথর, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি চুড়ি, কানের দুল, গলার মালা ইত্যাদি।
পুরুষের জন্য অবশ্য এ সময় পাঞ্জাবিই সেরা। আর কর্মব্যস্ত পুরুষদের জন্য আজকাল বুটিক হাউসগুলো বাজারে এনেছে ফাল্গুন রঙা শার্ট। ঘরে-বাইরে-কর্মক্ষেত্রে সবখানেই বসন্তকালীন পোশাকের কদর দেখা যায়।
ফাল্গুনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে থাকে। এলোমেলো হাওয়ার সঙ্গে উড়তে থাকে ধুলোবালি। তাই ত্বকের বিশেষ যত্ন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ত্বক ভালো থাকলেই সাজগোজ করে আনন্দ পাওয়া যায়। এ সময় রোদের জন্য মুখে সানস্ক্রিন লোশন লাগাবেন সবসময়। তবে ঘরে বানানো অনুষঙ্গ দিয়ে ত্বকচর্চার বিকল্প নেই। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় যেমন মসুরের ডাল, টমেটো, শসা, লেবুর রস, মধু ইত্যাদি দিয়ে ত্বকের যত্ন করা যায়। আর চুল সবসময় পরিষ্কার রাখা দরকার। এতে চুল পড়বে কম এবং ভাঙবে না কিংবা চুলে রুক্ষভাব দেখা দেবে না।