বর-কনেসহ নৌকা ডুবি: নারীর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
রাজশাহীতে পদ্মায় বর-কনেসহ দুইটি নৌকা ডুবে এক শিশু নিহত হওয়ার পর আরও এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে।
জেলার রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চারঘাট উপজেলা শহরের কাছ থেকে বিজিবি সদস্যরা এই নারীর লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত মনি খাতুনের (৪১) বাড়ি জেলার পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট গ্রামে। নিখোঁজ কনের বাড়িও ওই গ্রামে।
ওসি শাহাদত বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকায় পদ্মায় ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা দুটি ডুবে যায়। একই উপজেলার চরখানপুরে বরের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর-কনেসহ কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা।নৌকা ডুবির পর মরিয়ম (৫) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আহত আরও পাঁচজনকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি শাহাদত বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও বিজিবি সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি শুরু করেন। তাদের সঙ্গে শনিবার সকালে বিআইডব্লিউটিএর একটি ডুবুরি দল যোগ দিয়েছে।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদত হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত সাতজন নিখোঁজ আছেন বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। সরকার আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে। আর নিহতদের পরিবারকে লাশ দাফন বাবদ ২০ হাজার করে দেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার পর কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিকে (২০) এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পূর্ণি পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে।
দুর্ঘটনার পরপরই বর আসাদুজ্জামান রুমন (২৫) সাঁতরে তীরে ওঠেন। রুমন একই উপজেলার চরখানপুরের ইনছার আলীর ছেলে।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে রুমন বলেন, একটি নৌকার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে সেটি অপরটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় নৌকা দুটি ডুবে যায়।