বর্ষা মৌসুমে ফুলবাড়ীগেট-কুয়েট-তেলিগাতী সড়ক জলাবদ্ধতায় খানাখন্দে পরিণত
সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি
মিয়া বদরুল আলম, খানজাহান আলী থানা
নগরীর শিক্ষাজোনক্ষাত ফুলবাড়ীগেট-কুয়েট-তেলিগাতি গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে সড়কটির বেহাল দশায় পরিনত হয়। সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই অঞ্চলের খুলনা বিভাগীয় সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে এবং গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটি জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে সড়কের কার্পেটিং এবং খোয়া উঠে বড় বড় গর্তে পরিনত হয়ে জনদূর্ভোগে পরিনত হয়। খুলনা বিভাগীয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সড়কে অবস্থিত হওয়ায় মাঝে মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে চলা সড়কটি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলে সড়কের উপর পানি জমে খানাখন্দে বড়বড় গর্তে সৃষ্টি হয়ে চলাচলের প্রায় অনুপোযোগি হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে কেডিএ কর্তৃপক্ষ জমি অধিকগ্রহন করে ১৯৮৭/৮৮ সালে এই সড়কটি নির্মাণ করে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পরে গত ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এলজিডির তত্বাবধানে সড়কটির কুয়েট মেইনগেট থেকে তেলিগাতি পাকার মাথা পর্যন্ত রাস্তার পুন.নির্মাণ কাজ করা হয়। সড়কটির পুন.নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও নিন্মমানের মালামাল, সড়কের কার্পেটিংয়ে সঠিক মাত্রার বিটুমিন না দেওয়া এবং কার্পেটিং এর থিথনেছ সঠিক মাত্রায় না দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক ও এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ফুলবাড়ীগেট থেকে কুয়েট মেইনগেট পর্যন্ত সড়কের প্রায় সম্পুন্ন রাস্তাটির কার্পের্টিং এবং কংক্রিট উঠে বড়বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। এছাড়া কুয়েট মেইনগেট থেকে খানাবাড়ী নারিকেল তলা পর্যন্ত এবং ল্যাবরেটরী স্কুল মোড় থেকে পাকার মাথা পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং এবং খোয়া উঠে বড়বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থ বিরাজ করলেও বর্ষা মৌসুমে সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় শতশত খানাখন্দে সড়কটির বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে ফুলবাড়ীগেট থেকে কুয়েট মেইনগেট, কুয়েট মেইনগেট থেকে খানাবাড়ী নারিকেল তলা এবং টিটিসি সংলগ্নের কয়েকটি স্থান জরুরী ভিত্তিতে সংষ্কার করা না হলে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কোন সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কটি দ্রæত সময়ে সংষ্কারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠিন এগিয়ে আসবে এমনটি আশা করেছে স্থানিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটি দিয়ে খুূলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়(কুয়েট), নির্মাণাধীন হাইটেক পার্ক, শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, খানাবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খানজাহান আলী বিএম কলেজ সহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতাযাতের একমাত্র মাধ্যম এই গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি যা বর্তমানে বাইপাস সড়কের লিং রোর্ড হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।