January 20, 2025
আন্তর্জাতিক

বর্ণবাদ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবার

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের আলোচিত সাক্ষাৎকারে তোলা বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগটি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। একইসঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। খবর : বিবিসি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান দম্পতির তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। এছাড়া অভিযোগটি গোপনে খতিয়ে দেখা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ রাজপরিবার বলছে, প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন, তা জেনে পুরো রাজপরিবার ব্যথিত। হ্যারি, মেগান এবং তাদের ছেলে অর্চি সবসময়ই রাজপরিবারের ভালোবাসা নিয়ে থাকবে।

সাক্ষাৎকারে বর্ণবাদ বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ রাজপরিবার তা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এছাড়া হ্যারি-মেগানের সঙ্গে ঘটা বিষয়গুলো পারিবারিকভাবে মিটিয়ে ফেলার কথা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে সাক্ষাৎকার দেন হ্যারি ও মেগান। রোববার (৭ মার্চ) সিবিএস চ্যানেলে তিন ঘণ্টার সেই সাক্ষাতকারটি সম্প্রচারিত হয়। সেখানে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অভ্যন্তরে বর্ণবাদ, নিজেদের মানসিক অবস্থা, সংবাদমাধমের চাপ ও রাজপরিবারের অন্য সদসদের নিয়ে কথা বলেছেন মেগান।

সাক্ষাৎকারে ৩৯ বছর বয়সী মেগান মার্কেল বলেছিলেন, অর্চি যখন গর্ভে আসে, তখন তার গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্যরা।

মেগান আরও বলেছিলেন, বিরূপ পরিস্থিতিতে তিনি এতটাই অসহায় বোধ করছিলেন যে আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন।

তবে রাজ পরিবারের কারা এই ধরনের উদ্বেগের কথা বলেছিলেন, তা প্রকাশ করতে চাননি মেগান।

পরে অবশ্য হ্যারি বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বলেন যে, তার দাদি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বা দাদা ডিউক অব এডিনবার্গ এমন মন্তব্য করেননি।

রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন শুরু করেছেন মেগান ও হ্যারি।

হ্যারি বলেছেন, তিনি রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়েছেন বোঝাপড়ার সংকটের কারণে। তাছাড়া তার ভয় ছিল, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আবার না ঘটে। এ কথার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে নিজের মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত ছিল হ্যারির।

মেগান-হ্যারির ওই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। বলা হচ্ছে, ডায়ানার দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে রাজপরিবার যতটা চাপে পড়েছিল, তারপর এত বড় চাপে আর পড়তে হয়নি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *