বন্যা-পোকামাকড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম এইচএসসির প্রশ্ন ও উত্তরপত্র!
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত চার মাস ধরে স্থগিত রয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কবে শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে এখনো পরীক্ষা শুরু না হলেও দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পড়ে থাকা পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বন্যার পানি ও পোকামাকড়ের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে এসব জরুরি কাগজপত্র নিরাপদ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
গত ১৯ জুলাই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তাই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় সারাদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যে সকল গোপনীয় জরুরি কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে তা গুরুত্ব সহকারে সংরক্ষণ ও নিরাপদ রাখতে হবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে জরুরি এসব কাগজপত্র পড়ে থাকায় উইপোকা, বৃষ্টি এবং অন্যান্য কারণে যাতে এ সমস্ত গোপন কাগজপত্র নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, দেশের কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সম্প্রতি বন্যার পানি ঢুকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নষ্ট হওয়ার সংবাদ বোর্ডে এসেছে। ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বৃষ্টি, বন্যার পানি আর উইপোকার কারণে এসব গোপন কাগজপত্র নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে আগাম সতর্কতা হিসেবে এই নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ পরীক্ষা আপাতত স্থগিত আছে। যেহেতু কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল, সেহেতু পোকামাকড়ের হাত থেকে এগুলো রক্ষা করতে নিরাপদে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র পোকামাকড়ের কারণে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে এস এম আমিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কোনো কারণে গোপনে সব কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় ছাপাতে অনেক সময় লাগবে এবং এটা ব্যয়বহুল হবে। এ কারণে কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার এসব গোপন কাগজপত্র নিরাপদে সংরক্ষণ করে রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’