বন্ধু রাষ্ট্রের তথ্য বিবেচনায় রেখে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাচ্ছি, সেসব তথ্য বিবেচনায় রেখেই এবারের পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সাজিয়েছে পুলিশ। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে এমন তথ্য পাওয়ার পর বাংলা নববর্ষের বরণ উপলক্ষে রাজধানী জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি।
সেই সঙ্গে ওই দিন রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানসহ আশপাশের এলাকার সব অনুষ্ঠানকে ঘিরে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরণ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এবার বর্ষবরণ উৎসবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০০১ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি কিছু বন্ধু রাষ্ট্র জঙ্গিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দিচ্ছে। উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও (ঢাবি) কিছু রেডিক্যালাইজড সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করছি। সে কারণেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো হামলার আশঙ্কা আমরা করছি না। যেহেতু নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। লোন উলফ একটা ছুরি বা ব্লেড নিয়ে হামলা করে, এটাতো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা না থাকলেও কোনো তথ্য আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, রমনার বটমূলে প্রবেশে চেকপোস্ট থাকবে। তাতে চেক না করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনো যানবাহন এই এলাকায় চলবে না। রমনা এলাকায় ডগ স্কোয়াড সুইপিং করেছে, সন্ধ্যায় করা হবে এবং বুধবারও করা হবে। পুরো চত্বরে সিসিটিভি থাকবে।
তিনি বলেন, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল থাকবে রমনার লেক জুড়ে। এছাড়া অনুষ্ঠান এলাকায় ইভটিজিং রোধে সাদা পোশাকে পুলিশের উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।