বন্ধুত্বের ফাটল ধরিয়ে লাভ নেই : কূটনীতিকদের ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা ৬ জানুয়ারি আমেরিকার চেহারা দেখেছি। তাদের নির্বাচন এক পক্ষ মেনে নেয়নি, ফল মেনে নেয়নি। ন্যান্সি পেলোসি কী ভাবে লুকিয়ে ছিল সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি।
আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে অভ্যর্থনা উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কূটনীতিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আমরা আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব চাই। আমাদের অতীতে অনেক বেদনা আছে, ’৭৫-এর, ’৭১-এর। তারপরও আমরা বন্ধুত্ব চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ডেইলি ‘ম্যাস শুট’ হচ্ছে, সপ্তাহে অত্যন্ত দুইটা। একেকটাতে ৫ জন, ১০ জন। ১৯টি শিশু একটা ‘ম্যাস শুটে’ মারা গেছে। আমাদের আদালতপাড়া নিয়ে কথা বলেন, আপনাদের ওখানে কী হচ্ছে? সবাই নিজের চেহারাটা আগে দেখুক।
আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একই ব্যক্তি সব কমিটিতে নাম লেখাবে এটা ঠিক না। আমি কিন্তু অন্য কমিটি চেক করি। যারা এখানে বসে আছেন, আরেকটাতে গিয়ে ঢুকবেন, নাম লেখাবেন, সেটা করবেন না। অনেকে আছে পার্টির দুর্দিনে খোজখবর পাইনি। সম্মেলন এলেই উজানের কই মাছ। আবার মৌসুম চলে গেলে বসন্তের কোকিলও চলে যায়। এ রকম যারা আছেন দয়া করে মাফ করে দেবেন।
সম্মেলনে বিদেশে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বিদেশি যে মিশন/দূতাবাসগুলো আছে, সেখানকার কর্মকর্তাদের, ডিপ্লোম্যাটদের আমরা দাওয়াত দেব। সম্মানের সঙ্গে গিয়ে তাদের দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে। তাদের জন্য সম্মেলনে আসনের ব্যবস্থাও করতে হবে। কে আসবে এটা কনফার্ম করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবাক হয়েছি, কালকে দেখলাম জামার্নিতে অভুত্থানের চেষ্টা করছে, ক্যু করছে। কাজে কারোরই ভেতরের খবর অতো সুখকর নয়। যুক্তরাজ্যে কয়বার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হলো? আমরা সেই তুলনায় অনেক ভালো আছি। আপনাদের এতো কিছু হচ্ছে আমরা তো ইন্টারফেয়ার করিনি। আমাদের তো এতো বছর হয়েছে এই ঘটনা ঘটেনি। দুই জন এমপি ব্রিটেনে আততায়ীর গুলিতে নিহত। সবাই নিজের চেহারাটা আগে দেখুন। কারো হস্তক্ষেপ শেখ হাসিনা শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. জমির, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ডা. হাবিবে মিল্লাত, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল।