বদলে যেতে পারে ফেসবুকের নাম
নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। আগামী সপ্তাহেই নতুন নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে ফেসবুকের একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে দ্য ভার্জ।
ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলন ‘কানেক্ট’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবছর ফেসবুকের কর্মীদের নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তবে তার আগেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে নতুন নাম জানানো হতে পারে।
ফেসবুকের ব্যবসায়িক চর্চা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ধারাবাহিক তদন্তের মধ্যেই নাম পরিবর্তনের এমন খবর সামনে আসলো। যদিও এ বিষয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। সংস্থাটি জানায়, কোনো গুজব বা অনুমানের বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করে না।
তবে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম বদলের ঘটনা নতুন নয়। ধারণা করা হচ্ছে মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই ফেসবুকের নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগ।
এদিকে, মেটাভার্স প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১০ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার (১৮ অক্টোবর) এমন ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আপনি অফিস কিংবা ঘরে বসে আছেন, কিন্তু চাইলেই কল্পনায় চলে যেতে পারেন কোনো সমুদ্রে সৈকতে কিংবা অন্য কোথাও। মানুষের এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ লগ্নি আর প্রচেষ্টা চলছে। ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে মিশেল ঘটিয়ে মানুষকে তার বাস্তবের কাছাকাছি নিয়ে যেতেই কাজ করবে মেটাভার্স।
কয়েক বছর ধরেই এমন রিয়েলিটির দিকে এগোতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ মনে করেন, নতুন এ প্রযুক্তি ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিপ্লব বয়ে আনবে। তাই তো এমন প্রযুক্তি তৈরির কাজও শুরু করেছেন তিনি।
ফেসবুক বলছে, এতো বড় প্রকল্প রাতারাতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, এমনকি একার পক্ষেও নয়। মেটাভার্স প্রযুক্তি বাস্তবায়নে ১০ থেকে ১৫ বছর সময়ও লেগে যেতে পারে।
সমালোচকরা বলছেন, এই ঘোষণা মূলত কোম্পানির খ্যাতি ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য।