বড় জয়ে আসর শুরু স্পেনের
কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে আজ (২৩ নভেম্বর) মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন ও কোস্টারিকা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই বড় জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল লা রোসারা।
শেষ পর্যন্ত হলও তাই। কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আসর শুরু করলো স্পেন।
লুইস এনরিকের ছোঁয়ায় যেন বদলে যেতে শুরু করে স্প্যানিশরা। ২০২২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এসে যেন সেটার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেল বিশ্ব। স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেন ফেরান তোরেস। এছাড়াও ১টি করে গোল করেন, আসেনসিও, দানি ওলমো, মোরাতা, কার্লস সোলার ও পাবলো গাভি।
ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে স্পেন। প্রথমার্ধে পুরোটাই ছিল তাদের আধিপত্য। ম্যাচের ১১ মিনিটের দানি ওলমোর গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। গাভির যোগান দেয়া বলে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ওলমো।
একের পর এক আক্রমনের ধারাবাহিকতায় আসেনসিওর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। জর্দি আলাবার ক্রসে বাঁ পায়ের নিখুঁত প্লেসিং শটে গোল করেন আসেনসিও।
৩১ মিনিটে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন জর্দি আলাবা। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল কর দলকে এগিয়ে নিতে কোনও ভুল করেননি ফেরান তোরেস।
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতীতে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমনের ধার আরও বাড়ায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪ মিনিটে তোরেসের গোলে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করা তোরেস দ্বিতীয়ার্ধে কোস্টারিকার ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। কোস্টারিকার গোলরক্ষক নাভাসকে একা পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি তোরেস।
২০ মিনিট পরে ব্যবধান ৫-০ করেন গাভি। মোরাতার ফ্লিক থেকে বল পান গাভি। তার জোড়ালো শটের কোনও জবাব ছিল না কোস্টারিকার গোলরক্ষকের কাছে। এই গোলের ফলে এক ইতিহাস গড়েন এই বার্সা ফুটবলার। স্পেনের সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন তিনি। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে ৮৯ মিনিটে স্পেনের হয়ে সর্বশেষ গোলটি করেন পিএসজির ফুটবলার কার্লস সোলার। ম্যাচের ৯২ মিনিটে আবারো গোল করে স্পেন। এবার দাই ওলমোর পাস থেকে বদলি হিসেবে নামা মোরাতা গোল করে দলকে ৭-০ গোলের বিশাল জয় এনে দেন। বিশ্বকাপে ইতিহাসে এই প্রথম কোন ম্যাচে ৭ গোল করলো স্পেন। এই বিশাল জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসলো লুইস এনরিকের দল।
কোস্টারিকার বিপক্ষে স্পেনের রেকর্ড চমৎকার। দু’দল এই ম্যাচের আগে মুখোমুখি হয়েছিল তিনবার। তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু’টি জিতেছিল স্পেন। কোস্টারিকা কখনোই কোনো আনুষ্ঠানিক খেলায় স্পেনকে পরাজিত করতে পারেনি। সেই রেকর্ড ধরে রাখলো স্পেন।