বটিয়াঘাটায় মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি
বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে গতকাল রবিবার বিকাল ৩টায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও ভয় দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্যের হাত থেকে রেহাই পেতে এক লিখিত সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার তালবুনিয়া বিরাট গ্রামের মৃতঃ কাওসার আলীর পুত্র মোঃ একরাম শেখ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঐ একই এলাকার আলহাজ্ব আবুল বাসার এর স্ত্রী তাহসিনা বেগম স্থানীয় থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এস আই সাকিব, এএসআই জাহিদ ও কনষ্টেবল মিজান ও তাদের দালাল বিরাট গ্রামের আশরাফুল আমাদের বাড়ীতে এসে মামলা দায়ের হয়ে যাচ্ছে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা মামলা ঠেকাতে হলে ওসি (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ কে ম্যানেজ করতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। সে কথা বলে মোস্তফা স্যারের কাছে সাকিব স্যারের মোবাইলে ফোন দিয়ে কথা বললে মোস্তফা স্যার আমাকে বলে সাকিব কত টাকার কথা বলেছে। উত্তরে আমি তখন সাকিব স্যার ৫০ হাজার টাকার কথা বলেছে বলে প্রতি উত্তরে জানাই। তখন তদন্ত ওসি মোস্তফা স্যার আমাকে বলে সাকিবতো কমই চাইছে, আমিতো ১ লক্ষ টাকার কথা বলে দিয়েছি। এসয় সাাকিব স্যার আমাদের বাড়ীতে বসে টাকার চাপ দিতে থাকে। এ সময় এএসআই জাহিদ স্যার ও মিজান পুলিশ গালিগালাজ সহ ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তারা বারংবার ওসি (তদন্ত) মোস্তফা স্যারের সাথে কথা বলতে থাকে, শালারাতো রাজি হয় না স্যার। তখন আমি জানতাম না যে, মোস্তফা স্যার আসলে ওসি স্যার না, ওসি তদন্ত স্যার। তখন আমরা ভয় পেয়ে বাড়ির সকলের কাছ থেকে জোগাড় করে ১৮ হাজার টাকা একত্র করে তাদের হাতে তুলে দিয়ে দাবীকৃত বাকী টাকার জন্য ১ দিনের সময় নেই। পরের দিন টাকা দিতে না পারায় সাকিব স্যার, জাহিদ স্যার, মোস্তফা স্যার বিরাট ঘাটের নদীর কুলে আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে খুব গালিগালাজ করে সাকিব স্যার মোস্তফা স্যারকে মামলা নিয়ে নেই বলে চলে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানালে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় সাকিব স্যারকে ফোন করে মামলা না নেওয়ার জন্য জানান এবং তিনি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করে সমাধানের অনুরোধ জানান। উপজেলা চেয়াম্যান মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করে ফেরার পথে থানার অদুরে পৌঁছামাত্র এসআই সাকিব স্যার আমাদের দেখেই বাপের কাছে গেছ বলে তোদের বাপ কেমনে বাঁচায় বলে গালিগালাজ শুরু করে। এরপর আমরা বাড়ী চলে আসি। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐদিন সন্ধ্যার একটু আগে আমার মেঝ ছেলে ইমদাদুলকে বিরাট খেয়াঘাট চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ওসি মোঃ রবিউল কবীরকে অবগত করলে তিনি সাকিব স্যারকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে সাকিব ও মোস্তফা স্যার দালাল মারফত আমার মেঝ পুত্র ইমদাদুল, ভাইপো মামুন শেখ ও আমার ভাই এখতিয়ার শেখকে পেনডিং মামলায় চালন দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকী টাকা দাবী করছে। তিনি এব্যপারে পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের মহা পরিদর্শক, সরাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।