বটিয়াঘাটায় ভ্যানচালক রাশেদ হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
মাত্র ১৩ কার্যদিবসেই রায়
দ. প্রতিবেদক
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়পুর গ্রামের ভ্যানচালক রাশেদ (১৮) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশগুমের অপরাধে ২০১ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বটিয়াঘাটা জয়পুর গ্রামের বনি আমিন, রবিউল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম । করোনা পরিস্থিতির পরে মাত্র সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৯ কার্য দিবসসহ ১৩ কার্যদিবসে এ হত্যা মামলার বিচার কার্য শেষ হয়। রায় ঘোষণা কালে দণ্ডিতরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এড. এনামুল হক জানান, বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়পুর গ্রামে ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট সকাল অনুমান ৯টায় বাদী হালিম গাজীর মেঝ পুত্র মো: রাশেদুল গাজী ওরফে রাশেদ (১৮) অন্যান্য দিনের ন্যায় ভাড়ায় চালানোর জন্য ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ী নিয়ে বাড়ী থেকে বের হন। ভাত খেতে বাড়ীতে না আসায় পরিবারের লোকজন দুপুর ২টায় তার ছেলের মোবাইল নম্বরে কল করে নাম্বারটি বন্ধ পায়। এরপর খোঁজাখুজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। এরপর ২০ আগস্ট বেলা ২টায় বাদী লোকমুখে জানতে পারে ১টি ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ি ওই গ্রামের ইকবাল মেম্বরের বাড়ীতে আছে। ভ্যানটি আল মাহমুদ খান এর বাঁশ বাগানের পাশে পাওয়া গেছে। এরপর বাঁশ বাগানের পূর্ব পাশে হাবিবুর রহমানের পুকুরে ভাসমান মস্তকবিহিন রাশেদের লাশ এবং পার্শবর্তী পুকুরে মস্তক উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এস আই আহমেদ কবীর বটিয়াঘাটা থানায় চার্জশীট দাখিল করেন। ৩৮ জনের মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এড. প্রশান্ত কুমার গাইন, এড. আলী ইমরান হোসেন লিটন, এড. গাজী রাজু আহমেদ।
নিহতের পিতা হালিম গাজী জানান, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে এ রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয় সেই কামনা করি।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ