বটিয়াঘাটার গজালিয়ার ভূমিদস্যু জেসমিনের বিরুদ্ধে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
দ. প্রতিবেদক
বটিয়াঘাটার গজালিয়ার মৃত এনছার আলীর কাছ থেকে ২ একর জমি ক্রয় করে ৮৪ শতক জমি স্থায়ীভাবে ভোগ দখল করে আসছে একই এলাকার আলী আহমদ এর ছেলে রফিকুজ্জামান। যে জমির বর্তমান পর্যন্ত আর.এস গেজেট ও খাজনা পরিশোধ আছে। সরল বিশ^াসে এনছার আলীর ছেলে আব্দুল মজিদকে ঐ জমি ইজারা দিলে ঠিকমত ইজারা না দেওয়ায় অন্যকে ইজারা দিলে শক্র হয়ে দাড়ায় রফিকুজ্জামান। তার ইজারাদারদের হুমকি ধামকি ও দাদার সম্পত্তির ওরেশ হিসাবে ভোগদখলে বাধা সৃষ্টিকারী হিসাবে দেয়াল হয়ে দাড়ায় আব্দুল মজিদ এর কণ্যা জেসমিন বেগম। ইজারাদারদের চাষবাসের ঘের থেকে মাছ ধরতে গেলে মৃত এনছার আলীর কোন পূত্র না আসলে ও বাধা হয়ে দাড়ায় জেসমিন বেগম এবং সংঘর্ষের জটলা সৃষ্টি করে উল্টো থানায় অভিযোগ করে থানা কব্জা করে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখে রফিকুজ্জামানের ইজারাদেরকে। উপায়ন্ত না পেয়ে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পরে থানা নির্বাহী কর্ম কর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় রফিকুজ্জামান। ভূমিদস্যু ও দখলবাজ জেসমিন গং সকল দরবারে জমির কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে গত ১লা জুলাই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে রাজত্ব কায়েম করার পায়তারা করছে বলে ভুক্তভোগী রফিকুজ্জামনের অভিযোগ।
গত বুধবার রফিকুজ্জামান তার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুলনা প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন আব্দুল মজিদ শেখের বর্তমান কোন জমাজমি নাই এবং বৈধ কোন আয়ের পথ নাই তার মেয়ে জেসমিন ও তার জামাই ওয়াহেদ মোল্ল্যার। এরা সমন্বয়ে গজালিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলে, মাদক বিক্রী, ছিনতাই, চুরি, নারী কেলেঙ্কারী সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটীয়ে জীবিকা নির্বাহ করে যা বটিয়াঘাটা থানায় তাদের প্রতিটি অপকর্মের রেকর্ড আছে। জেসমিন বেগম অতি ধূর্ত ও মামলা বাজ, ভূমি জবর দখলকারী, তার প্রমাণ তার ভাসুরদ্বয়। তার ভাসুর আজাদ মোল্ল্যা ও তাহের মোল্ল্যার জমি দখল করে তাদের নামে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে ভূমিদস্যু জেসমিন। একই এলাকার মালেকের কাছে কিছু সংখ্যক জমি বিক্রি করে সে দুর্বল ব্যক্তি হওয়ায় জমি দখল থেকে তাকে বঞ্চিত করেছে। রেহাই পায় নাই একই এলাকার রফিকুল নামে ওদুদ এর চাচাতো ভাই, সূত্রে জানা যায় ওদুদ এর কাছ থেকেও কিছু সংখ্যক জমি ইজারা নেয় আব্দুল মজিদ এর মেয়ে জেসমিন বেগম ও তার স্বামী ওয়াহেদ মোল্ল্যা। ইজারা নেওয়া জমি থেকে অতিরিক্ত ২ বিঘা জমি জোর করে দখল করে ভোগ করায় রফিকুজ্জামান থানায় অভিযোগ ও দায়ের করে। ভুক্তভোগীরা সহ রফিকুজ্জামান এর দাবি পিতার জমি বিক্রি করার পর ছেলের কন্যা কোন সূত্রে জমি দাবি করতে পারে, জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে তার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে রফিকুজ্জামান এবং একই সাথে ভবিষ্যতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলণ করে সাধারণ জণগণকে বিভ্রান্ত করে হেয় প্রতিপন্ন করতে না পারে, তার বিনীত অনুরোধ এর পাশাপাশি রফিকুজ্জামান জানায় আমার পিতৃকুল থেকে আমার বংশ কুলের প্রত্যেকেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং আমার নামে থানায়, কোট-কাচারিতে কোন মামলা অভিযোগ নেই। বাবার আমল থেকেই মসজিদ মাদরাসার ও মানুষদের কে জায়গা জমি ভোগ দখলের জন্য দান করে দিই। তথাপি জেসমিন বেগম সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে লিখেছে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী তার জন্য তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন রফিকুজ্জামান। একই সাথে ইজারাদারদের জমাজমি চাষাবাদের বাধার সৃষ্টিকারী এবং মিথ্যা অংশীদারিত্বের আবেদনের মাধ্যমে রফিকুজ্জামান ভোগ দখলীয় জমির জবর দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ জেসমিন গং এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যম প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং উর্ধতন কর্তপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে।