বছরজুড়েই সামাজিক বিধিনিষেধ থাকবে যুক্তরাজ্যে
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে যেসব সামাজিক বিধিনিষেধ রয়েছে, চলতি বছরের পুরোটা সময়ই সেসব মেনে চলতে হবে যুক্তরাজ্যকে। জানিয়েছেন দেশটির সরকারের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা।
বিবিসি জানায়, অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেছেন, ‘শিগগিরই হঠাৎ জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, এ ধরনের প্রত্যাশা একেবারে অবাস্তব।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার আদর্শ হবে উপায় হবে রোগটি প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ উদ্ভাবন করা।’
আগামী বছরের আগে এটি হওয়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত ক্ষীণ’ বলে সতর্ক করেন তিনি।
সরকারের করোনা ভাইরাস বিষয়ক দৈনিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এ রোগটি দূর হতে যাচ্ছে না, অদৃশ্যও হচ্ছে না। আমাদের মেনে নিতে হবে যে, আমরা একটি রোগ নিয়ে কাজ করছি, বিশ্বজুড়ে নিকট ভবিষ্যতে এটির সঙ্গেই আমরা থাকতে যাচ্ছি।’
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৮। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ হাজার ১৫১ জন।
অধ্যাপক হুইটি বলেন, ‘হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসজনিত মৃত্যু দূর হয়ে যাবে, জনগণের এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না। দীর্ঘ মেয়াদে এর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি আদর্শ পথই খোলা আছে। হয় একটি প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে অথবা অত্যন্ত কার্যকর কোনো ওষুধ তৈরি হবে যা সংক্রমিত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম।’
যেহেতু খুব জলদি প্রতিষেধক বা ওষুধ উদ্ভাবিত হতে যাচ্ছে না, তাই সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি বছরব্যাপী মেনে চলতে হবে।
তবে অধ্যাপক হুইটি একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি রাজনীতিবিদ নন। শেষ পর্যন্ত লকডাউন শিথিল হবে কিনা বা সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ কতদিন মেনে চলতে হবে, তা নির্ধারণ করবেন রাজনীতিক এবং আইনপ্রণেতারা।
এদিকে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে মারা গেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭০ জন। শনাক্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৫ জন রোগী।