বঙ্গোপসাগরে দুই দিনে ৩৮ ভারতীয় জেলে আটক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় দুই দিনে তিনটি
ট্রলারসহ ৩৮ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। তাদেরকে
আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার
(৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ২৩ জন ভারতীয় জেলেকে মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো
হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ১৫ জন জেলেকে বঙ্গোপসাগরে
অবৈভভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে জেল হাজতে পাঠানো
হয়।’
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দফতর) অপারেশন কর্তকর্তা
লেফটেন্যান্ট ইমতিয়াজ আলম জানান, ‘আমাদের জেলেরা সমুদ্রের ৬০ থেকে
৭০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরেতে পারে। আর ভারতীয়রা সমুদ্রসীমার
প্রায় দেড়শ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে থাকে। তারা দ্রুতগামী নৌযান
ও কারেন্ট জালসহ জিপিএস নামের বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে।’
মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন,
‘সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে এ পর্যন্ত আটক জেলেদের সবাই ভারতীয়
নাগরিক। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ
শিকারের অপরাধে এফ বি স্বর্ণদ্বীপ ও এফবি আমৃতে নামে দুটি ফিশিং
ট্রলারসহ ২৩ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) একইভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ
শিকারের সময় ভারতীয় এফ বি মা লক্ষী নামে একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ জন
ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়। আটকরা সবাই ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার
বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩
এর ২২ ধারায় মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো
হয়েছে।’
মোংলা বাজারের স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী রবিউল, আল আমিন ও জসিম
অভিযোগ করেন, ভারতীয় জেলেদের উৎপাতে দেশি জেলেদের বর্তমান ইলিশ
মৌসুমে মাছ শিকার ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একসময় ভারতীয় জেলেরা
বাংলাদেশের জলসীমায় ঘেঁষে বা কিছুটা ভেতরে ঢুকে ইলিশ শিকার করতো।
বর্তমানে উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি এসে অবাধে মাছ শিকার করছে।
অধিকাংশ সময়ই তারা গোপনে মাছ শিকার করে চলে যায়। বিদেশি জেলেরা
উচ্চতাসম্পন্ন বাইনোকুলার দিয়ে ট্রলারে বসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর
তৎপরাতায় চোখ রাখে।