বঙ্গবন্ধু-বাপুর রাজনৈতিক সদৃশ্য থাকায় দুই দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে : মৎস্যমন্ত্রী
দ. প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ও ভারত এমনই দুই দেশ যারা কোন সংঘাত-বিরোধ ছাড়া তাদের জল ও স্থল সীমানা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিতে একই সদৃশ্য ছিল। তাদের আদর্শ ও লক্ষ্য অটুট থাকায় দুই দেশ স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
৮ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী স ম রেজাউল করিম। তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে। মহাত্মা গান্ধী অহিংস নীতিতে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশের জন্য স্বাধীনতা বয়ে এনেছেন। তেমনি বঙ্গবন্ধুও একইভাবে আইন মেনে দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি নিয়ম মেনেই দেশের শাসনভার গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন।
ভারতের রাজনীতি থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য ত্যাগ, দেশ প্রেম ও কিভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয় তা বাপু শিখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়েও বঙ্গবন্ধু একচুল বিচলিত হননি। নিজেকে উৎস্বর্গ করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। তিনি ছিলেন সারা বিশে^র নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর। তেমনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু সম্মেলনে বক্তৃতার মাধ্যমে সারা বিশে^ দুর্গতদের কণ্ঠস্বর উপধিতে ভ‚সিত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালম মুর্শেদী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের অ্যাটাচি অসীম সান্ত্রা ও মনোজ পান্ডে, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সুজিত সাহা, সিনিয়র সাংবাদিক মকবুল হোসেন মিন্টু, মল্লিক সুধাংশু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পটচিত্র ‘মহাকালের তর্জনী’ উপস্থাপন করেন রূপান্তরের শিল্পগোষ্ঠি ও নৃত্য পরিবেশন করেন আব্বাস উদ্দিন একাডেমীর শিল্পীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা।