বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন : বাবুল রানা
খবর বিজ্ঞপ্তি
নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালী জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতো না। তাঁর দীর্ঘ রাজনীতির ফসল হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া। সেকারনেই বঙ্গবন্ধু সকল ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি সন্তানদের থেকে বাবা ডাকটি শুনতে পারেননি। সন্তানরাও বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর এই যে ত্যাগের আদর্শ এটি আমাদেরকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে এই প্রজন্ম দেশ প্রেমে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করবে।
নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীরের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হাফেজ মো. শামীম, তসলিম আহমেদ আশা, অধ্যাপক রুনু ইকবাল, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, রনজিত কুমার ঘোষ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
স্মরণ সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৮টায় খুলনা বেতারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগর কার্যালয় সহ সকল ইউনিট কার্যালয়ে কোরান খানি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, বাদ জোহর প্রত্যেক মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দির, গীর্জা এবং প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা অনুরুপ কর্মসূচি পালন করেন।
জেলা আ’লীগ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা আ’লীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে সকাল ৭.৩০টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮.৩০ টায় খুলনা বেতার কেন্দ্রে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকাল ৫ টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ। সভা পরিচালনা করেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
এ সব কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোল্যা জালাল উদ্দিন, এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, বিএমএ ছালাম, রফিকুর রহমান রিপন, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, এমএ রিয়াজ কচি, এ্যাড. শাহ আলম, শেখ মো. রফিকুল ইসলাম লাবু, হালিমা ইসলাম, কাজী শামীম আহসান, শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, মোজাফফর মোল্যা, মোখলেসুর রহমান বাবলু, মোঃ খায়রুল আলম, সায়েদুজ্জামান সম্রাট, অসিত বরণ বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশা, অমিয় অধিকারী, মোঃ জামিল খান, হোসনের আরা চম্পা, মানিকুজ্জামান অশোক প্রমুখ।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়