বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে কাপ পর্বের ফাইনালে খুলনা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের কাপ পর্বের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে খুলনা জেলা ফুটবল দল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিরতি ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল দলকে। গত ২৫ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার নতুন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খুলনা-চুয়াডাঙ্গার প্রথম ম্যাচ ১-১ গোলে অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়েছিল। কাপ পর্বের ফাইনালে আগামী ১ ফেব্রæয়ারি খুলনার প্রতিপক্ষ ঝিনাইদহ।
খেলার প্রথম থেকেই আক্রমণ করতে থাকে খুলনা। একের পর এক আক্রমনে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখে তারা। ১৬মিনিটের সময় বাপ্পি থ্রো করে ছোট ডি বক্সের মধ্যে বল ফেললে রাজুর সর্ট চুয়াডাঙ্গার গোলকিপার কাদের প্রতিহত করে। ২২ মিনিটের সময় চুয়াডাঙ্গার ইব্রাহিম বামপ্রান্ত ডি বক্সের মধ্যে বল ফেললে আকরামের সর্ট বাহিরে চলে যায়। ২৪ মিনিটের সময়
খুলনার কিপার মেহেদী ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গেলে চুয়াডাঙ্গার আকরামকে ধাক্কা দেয়। এসময় সাইড লাইনে বসে থাকা চুয়াডাঙ্গার অফিসিয়াল ও খেলোয়াড়রা মাঠের ভিতর ডুকে পড়ে। রেফারীর সিদ্ধান্তকে না মেনে তার সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণ করলে বিপুলকে হলুদ কার্ড দেয়া হয়। প্রায় ১০মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও খেলা শুরু হয়। প্রথামার্ধের শেষ মিনিটে বিপুল ফাউল করলে রেফারী নাসির উদ্দিন আগের হলুদ কার্ডের সুবাদে লাল কার্ড দেখান। আয়নাল ফি কিক ছোট ডি বক্সের মধ্যে ফেললে রায়হান হেড করে বল জালে পাঠান (১-০)। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে খুলনা বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় খুলনা। পুষ্পকের তীব্র সর্ট কিপার কাদের কর্ণারের বিনিময় রক্ষা করে। আয়নালে পরিবর্তে মাঠে নামে নাঈম। ১৯মিনিটের সময় পুষ্পকের চিফ জান্নাত হেড করলে কিপার কাদের তালুবন্দি করেন। মুলত ১০জনের দলে পরিণত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অনেকটা দুর্বল হয়ে অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। এ সুযোগে খুলনার ১১নং জার্সিধারী রাজু তীব্র সটে কিপার কাদেরকে পরাস্ত করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। শিমুলের পরিবর্তে মাঠে নামে আসিব। ২৮মিনিটের সময় পুষ্পকের মাইনাস রাজু বারের কাইরে মারে। খুলনার স্টাইকার জান্নাতের বদলী হিসেবে মাঠে নামে আরিফ। শেষ দিকে চুয়াডাঙ্গার খেলোয়াড়রা গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হলেও তা কোন কাজে লাগেনি। খেলার শেষ মিনিটে খুলনার পরিকল্পিত আক্রমনে রাজুর বল উপর বারে লেগে ফিরে আসে। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে খুলনার কাপ পর্বের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়।