December 22, 2024
আঞ্চলিক

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিলো রাষ্ট্রনায়কোচিত : খুবি উপাচার্য

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ মার্চ ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি উদযাপনের সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ‘কালজয়ী মুজিব’ এর বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় পরিচালক, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ উপাচার্যের সাথে ছিলেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, কর্মচারিবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের সংগঠন বায়স্কোপের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা  বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু করে হাদি চত্বর হয়ে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

সকাল ১০ টায় সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্যবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত অনেক আগেই তৈরি হয়েছিলো। বাঙালি জাতি হাজার বছর ধরে যে স্বপ্ন লালন করে আসছিলো তার বহিঃপ্রকাশ হয়েছিলো ৭ মার্চের এই ভাষণের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু সেদিন রাষ্ট্রনায়কোচিত ভাষণ দেন। তিনি সেদিন জনসমুদ্রে  নানা চাপ, তুমুল আবেগ ও অগ্নিগর্ভ উত্তেজনা এবং বাঙালির আকাক্সক্ষার ওপর দাঁড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত, দূরদর্শী, ভবিষ্যৎ দ্রষ্টার মতো দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন, যার তাৎপর্য ও গুরুত্ব সমগ্রজাতি উপলব্ধি করে এবং তাদেরকে মুক্তিমন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু সেদিন সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রনায়কোচিত ভাষণ দেন যার মধ্যে বাঙালি জাতির মুক্তির সকল নির্দেশনা ছিলো।

তিনি বলেন ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে ‘আমি’, ‘আমার’, ‘আমরা’ ও ‘আমাদের’ এ শব্দ চারটি ৬৯ বার ব্যবহার করেছেন। এটি নেতা হিসেবে এ মাটি জনগণের সাথে তাঁর একাত্ম হয়ে যাওয়ার প্রতীক। পৃথিবীর আর কোনো নেতা এ ধরনের শব্দ এতোবার কখনও উচ্চারণ করেননি, মানুষকে এতোটা আপন করে দেখেননি। তিনি সেদিন তাঁর ভাষণে রাষ্ট্রযন্ত্রকে উস্কে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদগ্রস্তও করেননি। তিনি ক্ষমতার দম্ভে উত্তেজিত করেননি। তিনি এমন এক মন্ত্রে তাদেরকে উজ্জীবিত করেন যেখানে মুক্তির বার্তা ছিলো।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে উপ-পরিচালক অর্থ ও হিসাব শেখ মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রজেক্টরে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিকেল ৪ টায় অদ্যম্য বাংলা চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *