বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ভারতের ২১ সাইক্লিস্টের শ্রদ্ধা
দক্ষিণাঞ্চল ডেক্স
ভারতের কলকাতার ২০ জন সাইক্লিস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
‘বাংলা কখানো হয় না ভাগ ….. বাংলা ভাষায় আমরা এক….’ প্রতিপোদ্যে কলকাতার ‘হানড্রেড মাইলস’ নামের একটি পর্যটন সংগঠনের এই সদস্যরা রোববার টুঙ্গীপাড়া আসেন।
‘ভাষাসূত্র’ কর্মসূচির ব্যানারে এই ২০ সাইক্লিস্টসহ ২১ জন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর বিশেষ প্রার্থনা করেন।
এরপর তারা টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখেন।
সাইক্লিস্টরা বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের মিউজিয়াম, পাবলিক প্লাজা, ওপেন থিয়েটার, খোলা চত্বর, বকুলতলা চত্বর, ক্যাফেটোরিয়াসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেন।
হানড্রেড মাইলস পর্যটনের ব্যবস্থাপক সুদীপ্ত পাল বলেন, ২০১৮ সালে নেতাজীর আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠনের ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জম্মশত বার্ষিকী হচ্ছে।
“তাই দুই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা সপ্তম ভাষাসূত্রর ব্যনারে ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা নেতাজী ভবন থেকে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সাইকেলে ২০ জন সহ আমি রওনা হই।
“ওই রাতে আমরা ভারতে সুন্দর গ্রামে রাত্রিযাপন করি। পরদিন ঘোজাডাঙ্গা-ভোমড়া বর্ডার ক্রস করে সাতক্ষীরায় অবস্থান করি। ১৬ ফেব্রুয়ারি যশোরের সাগরদাড়ি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি ঘুরে রাতে খুলনা পৌঁছে রাত কাটাই।”
রোববার সকালে খুলনা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রোববার রাতে টুঙ্গিপাড়া থাকবেন। সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভাঙ্গা অবস্থান করবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছানোর পর আরও ১০ জন তাদের সাথে যোগ দেবেন। তারা ৩১ সদস্য এদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
“২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব। এর মধ্য দিয়েই আমাদের ‘ভাষাসূত্র’ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।”
এর আগে তারা ছয় বার ‘ভাষাসূত্র’ কর্মসূচি করেছেন। ওই ছয়বারই সাইকেলে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
সাইকেল টিমের দলপতি সরজিৎ রায় বলেন, ভাষায় এপার বাংলা ও ওপার বাংলা এক। দিই বাংলার মানুষের ভাষা, সংস্কৃতিতে হুবহু মিল রয়েছে। দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যেই মমত্ববোধ রয়েছে। বাংলাদেশে এসে তারা বারবার অভিভূত হন। তাই তারা দুই দেশকে আলাদা দেখেন না।