November 26, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

‘বঙ্গবন্ধুর সব সাহসী পদযাত্রায় সক্রিয় সহযাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা’

দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিবারের সদস্যদের প্রতি সবসময় দায়িত্বশীল ছিলেন। জীবদ্দশায় স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নানা পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে লড়াই-সংগ্রামের প্রেরণা যুগিয়েছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ তৎকালীন সব সংগ্রামে তিনি গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সব কষ্ট সহ্য করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামময় জীবনে তিনি যেমন পরিবারের হাল ধরেছিলেন পরম মমতায়, তেমনি সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন যথেষ্ট সাহসিকতার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মহীয়সী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দিকনির্দেশনা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সাহস জোগাতেন। কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ও নির্দেশনা নেতাকর্মীদের অবহিত করতেন। ১৫ আগস্ট বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে হত্যাকারীদের এই জঘন্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সব সাহসী পদযাত্রায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন সক্রিয় সহযাত্রী। আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ হওয়ার পর তার প্যারোলে মুক্তির জন্য সক্রিয় দলটি বঙ্গমাতার জন্য সফল হতে পারেনি। বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির চূড়ান্ত মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গমাতাই তার জীবনসঙ্গী বঙ্গবন্ধুকে সঠিক পথ বাতলে দিয়েছিলেন।
রবিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, জননেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার। নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীমের পরিচালনায় আরো আরও রাখেন নগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন হিটলু, উপ-প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, নগর কৃষক লীগের আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহীদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশারফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর মোজাফফর রশিদী রেজা, মোতালেব হোসেন, মো. আমির হোসেন, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, আলী আকবর খান, মোক্তার হোসেন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান দুলাল, চ ম মজিবুর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, মো. মুন্সি আইয়ূব আলী, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, এমরানুল হক বাবু, এ্যাড. শামীম মোশারফ, মাওলানা আব্দুর রহিম, নুরজাহান রুমী, নুরিনা রহমান বিউটি, নাসরিন আক্তার, মিনু আহম্মেদ, সরনী ইসলাম সুইটি, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, রেজওয়ানা প্রধান, নাসরিন সুলতানা, আলমগীর মল্লিক, মো. শহীদুল হাসান, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, মাহমুদুল হাসান রাজেস, ওমর কামাল, নিশাত ফেরদৌস অনি, রুম্মান আহমেদসহ দলের বিভিন্ন পযায়ের নেতাকর্মী। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সাঈদ হোসেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *